মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য বিকৃত করে অপপ্রচার শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকারের সতর্কতা পিআর ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে : মির্জা ফখরুল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ১৬ অক্টোবর আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক : তারেক রহমান পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে : জিটিওকে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেই এক মাসে ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়ন সম্ভব : মাহফুজ আলম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭১ হাজার পুলিশ মোতায়েন ব্যাংকের টাকা লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কন্যার যোগদান

টার্মিনাল চালু হলে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বিডা চেয়ারম্যান

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পের দুটি টার্মিনালে বিদেশি দুটি কোম্পানি ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। বে টার্মিনাল ২০৩০ সালে চালুর আশা করা হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
নগরীর পতেঙ্গার লালদিয়ার চর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, নেদারল্যান্ডসে এপিএম কোম্পানি বিভিন্ন দেশে পোর্ট অপারেট করেন। আমি তাদের হেডকোয়ার্টারে গিয়েছিলাম গত পরশু। আমার সঙ্গে ওনাদের যে কথা হয়েছে সেখানে প্রাইমারি যেটা অ্যাসেসমেন্ট, সেটা হচ্ছে যে, এখানে এই পোর্টটা করতে এটা একটা অবভিয়াসলি স্টেট অফ দি আর্ট এবং গ্রিন একটা পোর্ট হবে এবং এই গ্রিন পোর্টটা করতে ওনাদের রাফলি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগবে। এই পুরাটাই এফডিআই হিসেবে বাংলাদেশে আসবে। এখানে সরকার এক টাকাও দিচ্ছে না এবং পুরাটাই ওনারা বিদেশ থেকে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে আনবে।
আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের এফডিআই নাম্বারটা কিন্তু খুবই ছোট। আমাদের জেনুইন এফডিআই যেটাকে আমরা বলি যে ইকুইটি, ইকুইটি হিসেবে যে নম্বরটা ঢোকে, সেই নম্বর প্রতিবছরই আমাদের ৪০০, ৫০০, ৬০০, ৭০০ মিলিয়নের বেশি আসে না। তো এই একটা প্রজেক্টে যদি আমাদের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের এফডিআই আসে এবং এপিএমের মতো একটা ভালো কোম্পানি থাকে, সেটা আমাদের দেশের ইকোনমির জন্য এবং ওভারঅল আমাদের ফাইনান্সিয়াল হেলথের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকার থেকে চেষ্টা করছি যে, আমাদের লং টার্ম ভিশন বা অ্যাম্বিশনের সঙ্গে এটা অ্যালাইনড।
নেদারল্যান্ডের এপিএম কোম্পানির নানা তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কোম্পানিটা গ্লোবালি খুবই ওয়েল রেপুটেড। তাদের অপারেশনাল এক্সপেরিন্সও খুব ভালো। তারা ওই নলেজটা নিয়ে আসবে। তারা গ্রিন পোর্টের কনসেপ্ট নিয়ে আসবে বাংলাদেশে।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, আশা হচ্ছে এর মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই প্রজেক্টটাকে খুবই সিরিয়াসলি খুবই ডেডিকেটেডলি ট্র্যাক করার চেষ্টা করছি। আমার যেটা প্রাইমারি ম্যান্ডেট, সেটা হচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট। আর হচ্ছে জব ক্রিয়েশনের জন্য বাংলাদেশের জন্য।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলি যে, বাংলাদেশের কিন্তু প্রায় ৫০ শতাংশ পপুলেশনের ২৫ বছরের নিচে বয়স, তাই না? সো, এটা এত ইউনিক, আপনি পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই পপুলেশন পাবেন না। তো তাদের ভবিষ্যৎ ভালো যেন হয় সেটাকে এনসিউর করার কিন্তু একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের দেশকে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব করা এবং সেটার জন্য পোর্ট ক্যাপাসিটি ইজ ভেরি ইম্পর্টেন্ট।
বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের লং টার্ম অ্যাম্বিশন যেটা, বাংলাদেশকে আমরা গ্লোবাল ফ্যাক্টরি বানাতে চাই। সেটার সবচেয়ে প্রাইমারি ফ্যাক্টর বা সবচেয়ে বড় ইনগ্রেডিয়েন্ট হচ্ছে পোর্ট ক্যাপাসিটি। পোর্ট ক্যাপাসিটি না থাকলে আপনি কিছু করতে পারবেন না। ওয়ার্ল্ডের যারা টপ পোর্ট অপারেটর, তাদেরকে আনার আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে আমাদের যেই, যেহেতু আমাদের ল্যান্ড লিমিটেড, আমাদের ক্যাপাসিটি লিমিটেড, সেই লিমিটেড ক্যাপাসিটিকে যাতে আমরা বেস্ট ইউটিলাইজ করতে পারি, ঠিক আছে ? সো, এই এফিসিয়েন্সির কথা যে আপনি বলছেন, আমি এক্সপার্ট না। আমাকে পোর্ট চালাতে দিলে পোর্ট ফেল করবে। কিন্তু যারা এক্সপার্ট, তাদেরকে দিয়ে চালাতে দিলে এখানে প্রোডাক্টিভিটি এফিসিয়েন্সি বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের নেইবারিং কান্ট্রি ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের কথা যদি বলি। এই সবাই অনেকেই ডিপি ওয়ার্ল্ড নিয়ে অনেক কথা বলে। ডিপি ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়াতে পাঁচটি পোর্ট চালায়। পাকিস্তানে একটা পোর্ট চালায়। সেই সঙ্গে ৬০-৭০টি দেশে পোর্ট চালায়। ইনফ্যাক্ট, মেজরিটি অফ দা গ্লোবাল পোর্ট অপারেটরস, তারা তাদের নিজেদের দেশে হয়তো একটা-দুইটা পোর্ট চালায়। কিন্তু গ্লোবালি তারা আরও ৬০-৭০টা দেশে পোর্ট চালায়। তো কারও সিকিউরিটি কনসার্ন হয় না। আমাদের এখানে সিকিউরিটি কনসার্ন হয়ে যায়। দ্যটস আনফরচুনেট।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে নৌ বাহিনীর সক্ষমতার তুলে ধরে তিনি বলেন, আই হ্যাভ এ লট অফ ট্রাস্ট ইন বাংলাদেশ নেভি। আমি সিওর যে ওনারা জানেন যে ওনাদের নেভাল সিকিউরিটি কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে। ওনারা তো আমাদের সমুদ্র পাহারা দিচ্ছেন। খুব ভালোভাবেই দিচ্ছেন এবং খুবই লিমিটেড নাম্বার অফ ভেসেলস দিয়ে করছেন। সো, আই অ্যাম প্রিটি সিওর যে দেশের ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট, কমার্শিয়াল ইন্টারেস্ট, ওনাদের পক্ষে ম্যানেজ করা খুবই সম্ভব হবে এবং ওনারা ওটা খুব ভালোভাবে করতে পারবেন। সো, আমি এটা নিয়ে একেবারে ভয় পাই না।
বন্দর অভ্যন্তরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করে আশিক চৌধুরী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ইকোনমিক্যালি যেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করছি। সেটার সবচেয়ে সেন্টার পিস হচ্ছে গিয়ে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের এই সেন্টার পিসটার একটা অংশ আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি। এই পোর্টটা আরও এফিসিয়েন্ট হবে। সঙ্গে আরও অনেকগুলা পোর্ট দাঁড়িয়ে যাবে। অ্যান্ড চিটাগাং উইল বিকাম বেসিক্যালি দ্য ট্রু কমার্শিয়াল হাব। যেটা আমরা সবসময় বলে আসছি যে, ঢাকা হচ্ছে গিয়ে পলিটিক্যাল ক্যাপিটাল। বাট আমাদের কমার্শিয়াল ক্যাপিটাল যেটা, সেটা হবে চট্টগ্রাম এবং এই ট্রেডের কারণেই হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর