বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র চলছে কি না সজাগ থাকতে হবে : তারেক রহমান গেট ভেঙে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ঢুকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল শাসন ও বিচারবিভাগের সংস্কার প্রতিটি নাগরিককে স্পর্শ করবে : প্রধান উপদেষ্টা দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ ও ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় ছিল অমানবিক : হাইকোর্ট ব্রিটেনের আদলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার রূপরেখা বিএনপির ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন ব্যারিস্টার জায়মা রহমান শুধু ধর্মভিত্তিক দল নয় অন্যরাও বিবেচনায়, বাইরে থেকেও প্রার্থীর চিন্তা: নির্বাচনী প্রস্তুতি জামায়াতের, বৃহত্তর জোটের চেষ্টা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বিশ্ব ইজতেমায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে : র‌্যাব মহাপরিচালক ছাত্রশিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা: নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল পদত্যাগ করলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারক

শুধু ধর্মভিত্তিক দল নয় অন্যরাও বিবেচনায়, বাইরে থেকেও প্রার্থীর চিন্তা: নির্বাচনী প্রস্তুতি জামায়াতের, বৃহত্তর জোটের চেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৫:০৩ অপরাহ্ন

পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার চেষ্টায় থাকা জামায়াতে ইসলামী ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু ধর্মভিত্তিক নয়, আওয়ামী লীগবিরোধী অন্যান্য দল নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের জন্যও প্রার্থী ঠিক করা হচ্ছে। সংস্কারে জোর দিলেও এ বছরই নির্বাচন চায় দলটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর দুই যুগের মিত্র বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জামায়াতের। দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সমালোচনায় মুখর। জামায়াতকে একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা এবং ব্যাংক-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের জন্য অভিযুক্ত করে সমালোচনা করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি, দখলবাজির জন্য বিএনপির সমালোচনায় মুখর জামায়াত নেতাকর্মীরা।

শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের সূত্রপাত করা ছাত্র নেতৃত্ব নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতি নিলেও আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না ধরে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতকে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে সব দলের নেতারাই মনে করছেন, সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। নির্বাচন কখন, কোন পরিস্থিতিতে হবে, তার ওপর নির্ভর করবে আওয়ামী লীগবিরোধী দলগুলোর ভোটের মাঠে কেমন সম্পর্ক থাকবে।

জামায়াত নেতারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী থাকবে, কিংবা জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ৩০০ প্রার্থী থাকবে। এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ না পাওয়া দলটি ৫ আগস্টের পর দেশজুড়ে কর্মী সম্মেলন, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সমকালকে বলেছেন, সাংগঠনিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত নয়। নির্বাচন যখন হবে, তখনকার বাস্তবতায় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। স্থানীয়ভাবে যাদের বাছাই করা হয়েছে, তারা প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন, এতে অসুবিধা নেই।

জামায়াত নেতাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তা কাজে লাগাতে দলের বিস্তারের চেষ্টা চলছে। জাতীয় ও স্থানীয় সব নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করে কর্মী-সমর্থক সংগ্রহে জোর দেওয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুরের মতো জেলায়, যেখানে জামায়াতের নির্বাচনী সাফল্য নেই, সেখানেও প্রার্থী আগাম ঠিক করা হয়েছে।

জামায়াত দলীয় রুকন (সদস্য) না হলে নির্বাচনে প্রার্থী করে না। দলের বিস্তার এবং আগামী সংসদে এমপি বাড়াতে এ নিয়ম এবার বদলাতে পারে। দলটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেছেন, দলের বাইরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সন্ধান চলছে। আগ্রহী হলে বাইরে থেকেও প্রার্থী দেওয়া হবে। ডিসেম্বরে সাক্ষাৎকারে সমকালকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, এমন ভাবনা রয়েছে।

বৃহত্তর জোটের চেষ্টা
সাংগঠনিক শক্তি ও বিস্তৃতিতে এগিয়ে থাকা বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিতে জোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। গত ২১ জানুয়ারি বরিশালের চরমোনাইয়ে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন জামায়াত আমির। দীর্ঘদিন ধরে আদর্শিক বিরোধ থাকলেও দুই নেতা আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের কথা বলেন। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের এ সাক্ষাৎ রাজনীতিতে আলোচনা তৈরি করে। তবে এটাকে ছাপিয়ে যায় ২৬ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে গিয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ। তাদের যৌথ স্বাক্ষরে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন ন্যূনতম সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনসহ ১০ দফা ঘোষণা করে।

তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী আশরাফ আকন সমকালকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হলেও ইসলামী দলগুলোর ভোট আগামী নির্বাচনে এক বাক্সে আনা তথা ঐক্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

গত রোববার মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে যান ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে দুই দলের নেতারা আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে একমত হন। এই বৈঠকের পর মামুনুল হকের সঙ্গে দেখা করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল। খেলাফতের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন সমকালকে বলেছেন, জামায়াতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ইসলামী দলগুলোর জোটের প্রচেষ্টা চলছে, তা হবে ইনশাআল্লাহ।

কওমি মাদ্রাসা ঘরানার ছয়টি নিবন্ধিত দলের দুটি ইসলামী ঐক্যজোট এবং খেলাফত আন্দোলন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিল। এই দুটিকে বাদ দিয়ে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস জোট করতে চেয়েছিল এখনও নিবন্ধন ফিরে না পাওয়া জামায়াতকে নিয়ে। জামায়াতের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করা খেলাফত মজলিস গত মাসে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত নির্বাচনসহ সাত দফায় ঐকমত্য জানিয়েছে।

জামায়াত এবং অন্য দলের নেতারা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মভিত্তিক দল নয়, আওয়ামী লীগবিরোধী ছিল এমন মধ্যপন্থি দলগুলোকেও জোটে আনার চেষ্টা রয়েছে। ‘ইসলামপন্থিদের উত্থান’ হিসেবে যাতে তকমা দিতে না পারে, সেজন্যই এ কৌশল। গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শুধু ইসলামী দল নয়, সবার সঙ্গেই কথা হচ্ছে। আবার সবাই সবার কথা বলছে। নির্বাচনের সময় যে মেরূকরণ হবে, জোট তার ওপর নির্ভর করবে। কে কার সঙ্গে থাকবে, তাও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। বিএনপির সঙ্গেও কথা হচ্ছে কিনা– এ প্রশ্নে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ‘সব কিছু তো প্রকাশ্যে হয় না’।

৫ আগস্টের পর ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে প্রায় সব ইস্যুতে বিএনপির বিরোধিতা দেখা গেলেও জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য সদ্ভাব দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ সম্পর্কে শীতলতা দেখা যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জামায়াতকে দিল্লির ‘এক্সটেনশন’ আখ্যা দেন। ছাত্র নেতৃত্বের দলের সঙ্গে জামায়াতের নির্বাচনী সমঝোতার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তা এর মাধ্যমে শেষ হলো কিনা– এমন প্রশ্নে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আগে তাদের দলের জন্ম হোক, তখন বলা যাবে।

জামায়াত কখন নির্বাচন চায়
জামায়াত আমির সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলছেন গত আগস্ট থেকেই। নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার কথাও বলেছেন একাধিকবার। এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তাদের ভাষ্য, ভোটে জয়ের সম্ভাবনা না থাকায় অনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতা ভোগ করতে চাইছে জামায়াত।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের অন্য নেতাদের কণ্ঠে নির্বাচনের দাবি শোনা যাচ্ছে। সেক্রেটারি জেনারেল ছাড়াও দুই নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও মুজিবুর রহমান একাধিকবার বলেছেন, সংস্কারের জন্য নির্বাচন দীর্ঘদিন আটকে থাকতে পারে না।

গত শনিবার সমকালকে সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মধ্যে নির্বাচন চান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি আবার বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হবে, আর বড় মাত্রায় সংস্কার হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে ভোট।

ডা. তাহের সমকালকে বলেছেন, জামায়াতও চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। জামায়াত নির্বাচন চায় না, এমন কখনো বলেনি। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া অন্তত শুরু হতে হবে। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে ভোট হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া এ বছরেই শুরু করা উচিত। এর আগেই সংস্কারের কাজ শেষ করা সম্ভব।

বিকল্প দল তৈরি
২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন হারায় জামায়াত। ২০১৮ সালে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন দলটির নেতারা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জামায়াতের আপিল খারিজ হয় সুপ্রিম কোর্টে। ১ আগস্ট নিষিদ্ধ হওয়া জামায়াত বৈধতা ফিরে পেলেও নিবন্ধন পায়নি। তবে রিভিউয়ে আপিলের অধিকার পেয়েছে।

একাত্তরে গণহত্যাকারী পাকিস্তান বাহিনীকে সমর্থন এবং স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত– এ অবস্থান নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দল ছাড়েন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। একাত্তরের অতীত ঝেড়ে ফেলতে নতুন নামে দল করা উচিত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ওই বছরেই ডা. তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছিল।

নতুন নামে রাজনীতি করতে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে দল গঠন করে জামায়াত। এ দলটি ধর্মভিত্তিক নয়। দলের গঠনতন্ত্র এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণের কথা বলা হয়েছে। বিডিপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে ওই বছরে অক্টোবরে আবেদনও করে। সব জেলায় এবং ২০০ উপজেলায় কার্যালয়, ২০০ করে সমর্থকের প্রমাণ হিসেবে ২৮ হাজার পৃষ্ঠার নথি দিয়েছিল বিডিপি।

কিন্তু দলটি জামায়াতের ‘বি-টিম’ এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন বিডিপিকে নিবন্ধন দেয়নি। গত রোববার আদালতের রায়ে নিবন্ধন পেয়েছে দলটি। জামায়াতের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেছেন, এ দলের পেছনে জামায়াতের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। আগামী নির্বাচনের মাঠে সুবিধা পেতে বিডিপি থেকে ‘ডামি প্রার্থী’ দেওয়া হবে। বিডিপিকে রাজনীতিতে সক্রিয় করা হবে। অনেকগুলো দল যেমন বিএনপির সুরে কথা বলে, তেমনি বিডিপি জামায়াতের সুরে কথা বলবে। তবে বিডিপির সেক্রেটারি জেনারেল নিজামুল নাঈম তা নাকচ করছেন। তিনি সমকালকে বলেছেন, বিডিপি নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে।

সূত্র : সমকাল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর