তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছে বিএনপি।
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসকারীদের হাত থেকে দেশ ও রাজনীতিকে রক্ষা করতে এবং দেশ যাতে তাদের হাতে না যায় সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের আন্দোলন এখন আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে দিয়েছে, সাথে ওদের কর্মীরাও আছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানাবো।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের অবরোধে আজকে গণভবন থেকে প্রেসক্লাবে আসতে আমার ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। জ্যাম না থাকলে ১০ মিনিট লাগার কথা। অর্থাৎ কেউ বিএনপি’র অবরোধ মানে না, এতে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নাই, যারা অবরোধ ডাকছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের কোনো সমর্থন নাই। তারা হঠাৎ হঠাৎ একটা গাড়ির মধ্যে বোমা মারে, এটি তো কোনো রাজনীতির কর্মসূচির কোনো অংশ হতে পারে না। তাদের কর্মী পাওয়া যায় না, কিছু কর্মীর সাথে কিছু মাদকাসক্তদেরকে পয়সা দিয়ে তারা গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করাচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি আউটসোর্সিং করে এখন নেশাখোরদের হাতে তাদের আন্দোলন তুলে দিয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই রাজনীতি হবে, সরকারের পদত্যাগ দাবি বা মন্ত্রীদের সমালোচনা হবে কিম্বা রাস্তায় নেমে আন্দোলনও ঘোষণা করবে। কিন্তু গাড়ি-ঘোড়ায় আগুন দেওয়া, চোরাগোপ্তা হামলা করা, এটা তো কোনো আন্দোলন না, এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, রাজনীতিকে এর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চাই।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষকে পথ দেখায়, আলো দেখায়, তারা সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারে। জনগণ যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আজ দেশটা বদলে গেছে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে, এটা যেন অব্যাহত থাকে। যারা পেট্রোলবোমা মারে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো শিশুদের গুলি করে হত্যার পরও যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না, যারা স্কুল ঘরে আগুন দেয়, তাদের হাতে যাতে দেশটা না যায় সে জন্য আপনাদের সমর্থন চাই।’
এ সময় ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের মঙ্গল কামনা করে মন্ত্রী হাছান বলেন, সরকারি পেনশন স্কীমে সাংবাদিকদের জন্য যেনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাঁদা দেওয়া হয় এবং এটি যেন দশম ওয়েজবোর্ডে আসে, সে বিষয়ে কাজ করছি, আপনাদেরও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলার অনুরোধ জানাবো।
ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো: মফিজুর রহমান খান বাবুর সঞ্চালনায় এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, মাতৃভূমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনউদ্দিন মিয়া সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ও মন্ত্রীর হাতে স্মারক সম্মাননা তুলে দেন।