ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষেরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটানা বৃষ্টিপাত কখনো বাড়ছে, কখনো কিছুটা কমছে। সঙ্গে রয়েছে ঝড়ো বাতাস।
টানা বৃষ্টির ফলে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠিয়ে অবিভাবকরা উৎকন্ঠায় ছিলেন। অনেককে রিকশা ও অটোরিকশার অভাবে বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে স্কুলে যেতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৩৮ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১৩৯ মিলিমিটার ও পটুয়াখালীতে ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে অনেকেই রাস্তায় গণপরিবহন পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকেরা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারনে বাড়তি ভাড়া নিয়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকায় অটোরিকশার চালকেরা যেতে রাজি হননি। অনেকে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ভিজে গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা দুই সিটির অনেক এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
রেমালের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডির ২৭ নম্বর, গ্রিনরোড, নিউমার্কেট, মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর-১৪ নম্বর যাওয়ার রাস্তাসহ পুরান ঢাকার বেশ কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজার এলাকার আশপাশসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে ডেমরা ডিএনডি এলাকার কুতুবখালী, শনির আখড়া, মেডিকেল রোড, সাইনবোর্ড ও চিটাগাং রোডের নি¤œাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গাছও ভেঙে পড়েছে। মিরপুর পাইকপাড়া এলাকায় সরকারি ডি টাইপ কোয়ার্টার এলাকায় বড় আকারের একটি কৃষ্ণচূড়াগাছ ঝড়ে ভেঙে গেছে। এদিকে রমনা পার্কের আশপাশের এলাকায় কয়েকটি গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় ওই এলাকার সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এসে গাছগুলো সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘœ দেখা দেয়। এতে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া মানুষের আরও ভোগান্তি বাড়ে।
মেট্রোরেল চলাচল কিছু সময় বন্ধ ছিল। পরে সকাল ১০টা ৮মিনিটের দিকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে একটি মেট্রোরেল ছাড়ে। তবে সেটি চলাচলেও বিঘœ ঘটে। পরে মেট্রো চলাচল স্বঅবাবিক হয়।