ই-কর্মাসসহ সকল প্রকার ব্যাবসায়িদের জন্য সু-খবর। প্রডাক্ট ফটোগ্রাফী নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। সৌখিন কিংবা পেশাদার চিত্রগ্রাহক আর গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের অ্যাপ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের তরুন উদ্দ্যোক্তা আল ফয়সাল। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ইন্টারনেট ভিত্তিক এই ফটোগ্রাফি সেবার অ্যাপটির নাম “পিকইজি” www.PicEazy.com
বিশ্বায়নের এই যুগে যে কোন ধরনের ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ছবি ও ভিডিও, তৃনমূল পর্যায়ের ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য পেশাদার প্রডাক্ট ফটোগ্রাফী এখন অনেকটাই দুর্লভ। সেই সাথে ছবি কিংবা ভিডিও নির্মানের দক্ষতা থাকলেও নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্মের অভাবে অনেকেই পাচ্ছেন না পেশাদারিত্বের সাথে কাজ কারার সুযোগ।
প্রথম বারের মত বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিখাতে যুক্ত হতে যাচ্ছে চিত্রগ্রাহক ও ফটোগ্রাফী নির্ভর এক আন্ত-বানিজ্যিক অ্যাপ।
অর্থাৎ এই “পিকইজি” মূলত ফটোগ্রাফারদের মার্কেটপ্লেস হিসাবে কাজ করবে। গ্রাহক এবং ফটোগ্রাফার উভয়েরই পৃথক পৃথক প্রফাইল সংযুক্ত থাকবে এই “পিকইজি” অ্যাপে।
প্রডাক্ট ফটোগ্রাফী থেকে শুরু করে মডেল ফটোগ্রাফী (Model Photography), উইডিং ফটোগ্রাফী (Wedding Photography), ইভেন্ট ফটোগ্রাফী (Event Photography) এবং কর্পোরেট ফটোগ্রাফী (Corporate Photography) সহ সকল প্রকার ফটোগ্রাফী সার্ভিসের জন্য ফটোগ্রাফারদেরকে গ্রাহকের সাথে সংযুক্ত করবেই এই পিকইজি।
মূলত ফটোগ্রাফী সার্ভিসটিকে আরো আধুনিকায়ন, সহজ লভ্য এবং কম খরচে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা প্রদান করা, ফ্রীল্যান্সার ফটোগ্রাফার তৈরী এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করাই পিকইজির মূল লক্ষ্য।
পিকইজি এ্যাপটির উদ্ভাবক আল ফয়সাল বলেন, বাংলাদেশের তরুন বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্যই তার এই প্রচেষ্টা যা বাংলাদেশে চালু হলে একটি বড় অংশ বেকার জনগোষ্ঠির কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশের ফ্রীল্যন্সারদের একটি বড় অংশ ছবি এবং ভিডিও এডিটিং করে আয় করছে। এ সকল ছবি বির্হবিশ্বথেকে ট্রিটমেন্টের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং চীনে প্রেরণ করা হয়, পিকইজি পর্যায় ক্রমে বিভিন্ন দেশে চালু হলে আমাদের দেশের ফ্রীল্যান্সারদের আরো বেশী কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বর্তমানে www.piceazy.com এবং www.productsphotographybd.com এই দুইটি সাইটের মাধ্যমে সকল প্রকার ফটোগ্রাফী সার্ভিস চালু রয়েছে, যে কোন গ্রাহক চাইলে প্রডাক্ট ফটোগ্রাফী সহ সকল প্রকার ফটোগ্রাফী সার্ভিস নিতে পারবে।