শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় রোববার বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে : আসিফ মাহমুদ পহেলা জুন প্রাথমিকের আরো পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে: ইশরাক নারীকে লাথি মারা যুবকের শাস্তি চাইলেন শিশির মনির ‘সব দল নয়, একটি রাজনৈতিক দলই শুধু ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়’ ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: আপিল বিভাগ সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরা থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার আগামী নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান ঈদুল আজহায় সংবাদপত্রে ছুটি ৫ দিন

নানা অনিয়মের অভিযোগ: ফরিদপুর-১ আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪, ৫:১৪ অপরাহ্ন
আরিফুর রহমান দোলন। (ছবি : সংগৃহীত)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের ভোট পুনরায় গণনা ও নির্বাচনী অনিয়ম হওয়া অর্ধশতাধিক ভোটকেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) আরিফুর রহমান দোলন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) তথ্য-প্রমাণাদিসহ ফরিদপুর-১ আসনের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে নির্বাচনী নানা অনিয়ম তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এক আবেদনে দোলন এ দাবি জানান।

৭ জানুয়ারির ভোটে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবদিক দিয়ে এগিয়ে ছিলেন। ভোটের দিন নির্বাচনি এলাকায় আলোচিত হেভিওয়েট এই প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে এলাকায় জল্পনাও শুরু হয়।

তবে ভোটের শেষ ঘণ্টায় অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও নৌকার পক্ষে জাল ভোটের খবর আসতে থাকে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় এসব কেন্দ্র থেকে ঈগল মার্কার এজেন্টদের বের করে দেওয়ার খবরও আসে গণমাধ্যমে।

সিইসির কাছে অভিযোগে আরিফুর রহমান বলেন, ফরিদপুর-১ আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়ম, নন-ভোটার দিয়ে ভোট দেওয়া, অনেক কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ ব্যাপক জালভোট দিতে দেখা গেছে একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে। মৃত ব্যক্তি, প্রবাসীদের ভোটও নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের অবগত করলেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানানোর পরেও প্রতিকার মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের সচিবকে সরাসরি মোবাইলফোনে বার্তা পাঠিয়েও কোনো ফল হয়নি। জালভোট পড়ার বিষয়ে একাধিক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারদের ঈগল প্রতীকের এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকরা জানালে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিয়ে সন্দেহজনক আচরণ করেন।

অভিযোগে আরিফুর রহমান দোলন আরও উল্লেখ করেন, ফরিদপুর-১ আসনের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোট কারচুপির উদ্দেশে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সমর্থকরা অবস্থান নেন। কেন্দ্র এলাকায় তারা আমাদের (ঈগল প্রতীক) কর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ওই প্রার্থীর লোকজন প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অনেকগুলো কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারে ওই প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারে।

ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় অভিযোগ করে দোলন আবেদনে বলেন, ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের ভোট গণনার কক্ষে রেখে আমার এজেন্টদের ওই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর আগেই ভোটের মনগড়া ফলাফল লেখা কাগজে জোর করে আমার এজেন্টদের স্বাক্ষর রাখা হয়। সেখান থেকে ওই বিশেষ প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) চেয়েছিল একটি সুষ্ঠু ভোট করতে। নির্বাচন ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক এড়াতে। নির্বাচনী আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে প্রার্থীর অধিকার সুরক্ষায় নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে। তাই ফরিদপুর-১ আসনে আরও যে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গণনায় অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে সেখানেও পুনরায় ভোট গণনার দাবি করছি।

অভিযোগে দোলন আরও বলেন, ভোট শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণার সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট না বলে সরাসরি ওই প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সেসময় বিষয়টি জানতে চাইলে সেই মুহূর্তে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা নেই বলে জানানো হয়। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যদি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে না থাকে তাহলে ওই বিশেষ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো কীসের ভিত্তিতে। এতে বোঝা যায়, নৌকার প্রার্থী দ্বারা তিনি প্রভাবিত।

এমনকি একদিন পর ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করা হয়। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করতেই এসব নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয় বলে অভিযোগ আলোচিত এ এমপি প্রার্থীর।

নির্বাচনী নানা অনিয়ম এবং বিজয়ী নৌকা প্রার্থীর পক্ষে জালভোট পড়ার কারণে নির্বাচনে ভোটের সঠিক ফলাফল না পাওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলন। যে কারণে তিনি ফরিদপুর-১ আসনের ভোটের ফল পুনরায় গণনা এবং অনিয়ম হওয়া কেন্দ্রগুলোর ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর