রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে প্রবাসী এস.এম মোহাদ্দোছুল হাসান ও তার ছেলেকে মারধর করে এবং জিনিসপত্র ভাংচুর ও মূল্যবান আসবাবপত্র, গহনা এবং নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৫/০৮/২০২৪ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ টায় ৪নং রোড নবীনগর হাউজিং এর ২১/এ নাম্বার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগকারী প্রবাসী এস.এম মোহাদ্দোছুল বলেন, গত ১৫/০৫/২০২৪ইং তারিখ আমার পুত্র এস.এম শিমুল হাসানসহ দেশে এসে বাড়ির ষষ্ঠ তলার কাজ শুরু করি। কিছু দিন চলার পরেই অভিযুক্ত ফজলুল রহমান (৫৫) এবং তার সহযোগী কয়েকজন নিয়ে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ২৫/০৮/২০২৪ইং তারিখ আমি এবং আমার ছেলে বাড়ির ৪র্থ তলায় অবস্থানকালে, ফজলুল রহমান ও আনোয়ার সহ প্রায় ৩০/৩৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে এবং আমার ছেলেকে ৪র্থ তলা থেকে মারতে মারতে বাড়ির নিচ তলায় নিয়ে এসে ২২,০০,০০০/- (বাইশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি অস্বীকৃতি জানালে আমার বাসার বিভিন্ন স্থানে তাদের সাথে থাকা অস্ত্রশস্ত্র রেখে ছবি তুলে এবং ভিডিও করে বলে আমি ঐ সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য বাড়ির ভিতর রেখেছি। আমার বাসার দরজা, জানালা, চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান ভুক্তভোগী মোহাদ্দোছুল।
অভিযুক্ত, ফজলুর রহমান (৫৫), সাং- নবোদয় হাউজিং, মোঃ আলমগীর (৫০), নশু মিস্ত্রী (৫০), শুভ আমিন হেড রাজ মিস্ত্রী, লতিফ খা (৬০), রাশেদ (২২), পিতা- ফজলুর রহমান রাসেল (২৩), মহসিন (৩৭), রাজ মিস্ত্রী, বেলাল হোসেন (৩৬), স্যানিটারী মিস্ত্রী, হাসান (৩০), টাইলস মিস্ত্রী মুনসুর (৩৫), স্যানিটারী মিস্ত্রী আলাউদ্দিন, তাজুল হাওলাদার, শাহনাজ বেগম (৩৮), হৃদয় (১৮), রশিদ (২৮), ইকবাল (৩২), ইব্রাহীম (৩০), রং মিস্ত্রী, ইসমাইল হোসেন (৩৭), রাজ মিস্ত্রী, বেলাল হোসেন (৩০), মোখলেছুর রহমান (২৬), ইব্রাহীম (২৮), রং মিস্ত্রী, জুয়েল (২০), আনোয়ার (৩২), কামাল (৩২), সর্ব সাং- নবীনগর হাউজিং এর অজ্ঞাতনামা প্রায় ১০/১২ জন আমার বাসায় থাকা টিভি, মোবাইল, স¦র্ণালংকার, ঘড়ি, ফ্রীজ ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়। সেই সাথে তাদের দাবীকৃত চাঁদা ২২ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য বলে এবং আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে একটি কাগজে উপস্থিত ১২ জনের নাম এবং নামের পাশে টাকার পরিমান লিখে মোট ২২ লক্ষ টাকা হিসাব করে, তারপর ঢাকা উদ্যানস্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের বুথে নিয়ে জোর করে ৮০,০০০/- টাকা উত্তোলন করে নেয়।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফজলুর রহমান বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। কিছু করি নাই বরং শ্রমিকেরা বাড়ির মালিকের কাছে টাকা পাবে, আমরা স্থানীয় হিসেবে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি। অনেকেই একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনি। তবে অনেকেই প্রবাসী মোহাদ্দোছুলের বিল্ডিংয়ের কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন, আমদের এখানে প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসছে, এই ব্যাপারে এস আই কাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনারা তার সাথে কথা বলেন। এস আই কাদের বলেন, আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোহাদ্দোছুলকে বিস্তারিত জানাব।