ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের ইমাম মাওলানা মনিরুজ্জামান এ জানাজা পরিচালনা করেন। জানাজা শেষে তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
শনিবার জোহরের নামাজের পর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে তার জানাজা শেষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহীনবাগের বাসায় স্ট্রোক করে কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।
গুণী এই কার্টুনিস্টের জানাজায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, এম এ কুদ্দুস একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া চাই, যাতে আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ অনেকে৷
জানাজা শেষে এম এ কুদ্দুসের মরদেহে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাপ্তাহিক একতা পত্রিকা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, দৈনিক সংবাদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, ঢাকাস্থ রাজবাড়ী সাংবাদিক সমিতি, সাউথ বাংলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এম এ কুদ্দুস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের কার্টুনিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত ছিলেন। তার জন্মস্থান রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে।
পত্রিকায় কার্টুন এঁকে এম এ কুদ্দুস সুনাম কুড়িয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে তাকে স্মরণ করছেন। শোক জানাচ্ছেন।
তার মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দারসহ অন্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।