অবৈধ আইপি টিভি ও জনহয়রানিতে লিপ্ত ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সম্প্রচার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।
এর আগে দেশের টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ‘এটকো’, সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে এ অভিযানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
বিজেসি’র চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইলিং ও জনহয়রানিতে লিপ্ত অবৈধ আইপিটিভি-ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজেসি অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলো। সরকার এ ব্যাপারে অভিযান শুরু করায় বিজেসি এ জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন এ বিষয়ে এক পত্রে সকল জেলা প্রশাসককে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা বৈধতাহীন ও অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ভঙ্গকারী আইপি টিভি, ইউটিউব চ্যানেল ও অনিয়মে জড়িত কেবল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঈদের পর সোমবার ৩ জুলাই রংপুরে মোবাইল কোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহারের অপরাধে প্রাইম কেবল নেটওয়ার্ককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
ঈদের আগের দিন ২৮ জুন সিলেটের পূর্ব জাফলংয়ে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচারের ব্যত্যয় করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসার অপরাধে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে ২৫ জুন চট্টগ্রামে একাধিক অভিযোগে সি-প্লাস টিভি, সি-ভিশন, ২৪ টিভি ও এসবিটিভি নামের অনুমোদনহীন চারটি আইপিটিভির অফিস সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।