স্মার্ট গ্রন্থাগার তৈরি ও পাঠকদের যুগোপযোগী সেবা প্রদানের মাধ্যমে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে ই-বুকের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে কাগজের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত বইসমূহকে ই-বুকে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে ইবুককে পাঠকের নিকট আকৃষ্ট ও সহজলভ্য করা হবে। কেননা, রাষ্ট্র সাধারণত ব্যবসা করে না। বরং এটি জনগণের কল্যাণে কাজ ও সহযোগিতা করে থাকে।’
রবিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার বিনির্মাণে ই-লাইব্রেরির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাগজের বইকে ইবুকে রূপান্তরের ক্ষেত্রে যাতে মানসম্পন্ন বইসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় সে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। কোনক্রমেই মানহীন বই যাতে এতে স্থান না পায়, সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান।
সেমিনারে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান ও সাবেক রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. মরিয়ম বেগম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার এর উপপরিচালক ড. হারুন অর রশীদ।