দেশব্যাপী ‘জেনোসাইড স্বীকৃতি দাবি সপ্তাহ’র দ্বিতীয় দিনে, চুকনগর সমাবেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ জেনোসাইডকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) এর ৫৪তম বৈঠকে বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতির দাবিতে ‘আমরা একাত্তর’ সাত দিনব্যাপী এই দাবি সপ্তাহ পালন করছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের দক্ষিনের জেলা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের ২০ মে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার অপেক্ষায় জড়ো হয়েছিলো চুকনগরের ভদ্রা নদীর পাড়ে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এসব হাজার হাজার নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই হত্যাকান্ডে মাত্র চার ঘন্টায় নারী-শিশুসহ দশ হাজারের বেশি লোককে হত্যা করা হয়।
চুকনগর জেনোসাইডসহ একাত্তরের সকল বর্বরোচিত জেনোসাইডকে অবশ্যই জাতিসংঘের স্বীকৃতি দিতে হবে বলে চুকনগরের মানববন্ধন সমাবেশে দাবি জানানো হয়। সামাজিক সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’ ও ‘চুকনগর গণহত্যা ৭১ স্মরণ কমিটি’ যৌথভাবে এ মানববন্ধন সমাবেশের আয়োজন করে।
চুকনগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও ‘চুকনগর গণহত্যা ৭১ স্মরণ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘চুকনগর গণহত্যা ৭১ স্মরণ কমিটি’র সভাপতি ও চুকনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম শফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক তাপস বিশ্বাস, অধ্যাপক আবদুল হাফিজ মাহমুদ, অধ্যাপক এস এম জুলফিকার, অধ্যাপক কল্যাণ কান্তি হালদার, অধ্যাপক নিকুঞ্জ বিহারী মন্ডল, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা তরিকুল ইসলাম বাবু, নাজমুল ইসলাম আক্তার, মাহবুবুর রহমান এবং ইফতেখার আলম রাজীব।এছাড়াও আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শতাধিক লোক সমাবেশে অংশ নেন।