সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এর আগে বুধবার (২৮ মে) সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় ঐক্য ফোরাম।
এদিকে গত মঙ্গলবার পাঁচ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর আশ্বাস পেয়ে বুধবারের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন কর্মচারীরা। পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকজন সচিব গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়াদি তুলে ধরেন। এরপর আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা গতকাল সচিবালয়ে কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সেখানে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ঐক্য ফোরাম নেতা বাদীউল কবির বলেন, সব কিছু মাথায় রেখে আগামী দিনে আন্দোলন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। মাঠ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মুহা. নূরুল ইসলাম বলেন, শনিবার প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর যদি ভালো কোনো ফল পাওয়া না যায়, তাহলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আন্দোলন থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে এই অধ্যাদেশের কারণে কর্মচারীদের ওপর কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সেসব বিষয় তুলে ধরেন ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।