দরপতনে বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকার শেয়ারবাজারে কমেছে মূলধন। এ সময় বাজার মূলধন হারিয়েছে ১৪৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ শেয়ারবাজারে পতন হলো। এছাড়া লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামও কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে উত্থান-পতন ছিল ঢাকার শেয়ারবাজারে। ৩ কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স সূচক মাত্র ৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৪৯–এ।
এ সময় লেনদেনের গতিও কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা। প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। শেষ দিন লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়।
বিদায়ী সপ্তাহে হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৬৮টির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর।
সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম ছিল খান ব্রাদার্স, দ্বিতীয় সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট এবং তৃতীয় অবস্থানে টেলিকম খাতের রবি।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম এনভয় টেক্সটাইল; প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দ্বিতীয় শ্যামপুর সুগার মিলস, এবং তৃতীয় অবস্থানে ইউসিবি।
অন্যদিকে, বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ১৮২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকার।