প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপহার হিসেবে কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের দেওয়া গরুটি ঐ দম্পতি বৃহস্পতিবার কোরবানি করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মাংস স্থানীয় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে গরুটি কোরবানি দেয়া হয়।
ঐ দম্পত্তি ২০২০ সালে নেত্রকোনা থেকে আড়াই লাখ টাকায় ক্রস ব্রাহ্মা জাতের গরুটি কিনেছিলেন এবং তিন বছরের বেশি সময় ধরে লালন-পালন করেছিলেন কোরবানির ঈদে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য। বুলবুলের বাবা-মা ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের বাবা-মায়ের নামেও কোরবানি দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গরুটি কোরবানি করে দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। কোরবানির গরুটি থেকে প্রায় ৫৬৫ কেজি মাংস পাওয়া গেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রী, দেশ এবং জনগণের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ও সুখিয়া ইউনিয়নের ১৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করা হয়।
শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছিল যে, গত ৯ জুন এক কৃষক দম্পতি তাঁকে উপহার দেওয়ার জন্য গরুটি লালন-পালন করেছিলেন এবং কৃষক দম্পতির ভালোবাসায় অভিভূত হয়েছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান দু’জনকে ধন্যবাদ জানান।
বুলবুল জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী ইশরাত জাহান আওয়ামী লীগ সরকারের চালু করা ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে স্বল্প সঞ্চয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই গরুটি কিনেছেন। গত তিন বছর ধরে তারা আন্তরিকভাবে গরুটির যত্ন নেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা থেকেই আমরা এই গরুটি কিনে লালন-পালন করেছি।
বুলবুল আহমেদ তার গরু উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সূত্র : বাসস