জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অরাজকতার দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা কোন ব্যক্তিকে হত্যা নয়, তাকে হত্যা মানেই একটি বাংলাদেশকে হত্যা। তাকে হত্যা করা মানেই বাংলাদেশ মুল চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নষ্ট করতে জাতির পিতাকে হত্যা। যে হত্যাকান্ডটির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতি কলংকিত করতে অস্ত্র, কলো টাকা, মাদকের অভয়ারণ্য করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত চিহ্নিত মানুষকে একে একে দেশে ফেরত এনে প্রতিষ্ঠা শুরু করেছিলেন এই মেজর জিয়া।
মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনের স্মার্ট প্রচারণা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবির বিন আনোয়ার বলেন, বিএনপিকে কোনভাবেই রাজনৈতিক সংগঠণ মনে হয় না। একটি সংগঠনের জন্য একটি গঠণতন্ত্র থাকবে। যে গঠণতন্ত্রটি দেশের আইন ও সংবিধান মেনেই তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের কোন ক্লাব বা সামাজিক সংগঠনের দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধিরা নেতৃত্ব দিতে পারেন না। অথচ বিএনপি তার উল্টো। যার দুই জন শীর্ষ নেতাই দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধি। যে দলের শীর্ষ ২ নেতা দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধি সেইটি রাজনৈতিক দল হতে পারেনা।
শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী চক্র নানা অপপ্রচার ও গুজব রটিয়ে যাচ্ছে। তা মোকাবেলায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এই কর্মশালার মধ্যে দিয়ে আগামি নির্বাচনের প্রচারণা, জনগনের মাঝে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর কাজ করা হবে।
দেশের ৪৩ তম জেলা হিসেবে এই প্রশিক্ষণ উল্লেখ করে কবির বিন আনোয়ার বলেন, দেশের সকল জেলা ও উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ হবে। আগামি নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ভোট নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের অংশ।
অনুষ্ঠান শেষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করেন তিনি।