ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেড়েছে মার্কিন উপস্থিতি। মার্কিনি আক্রমণ থেকে ভেনেজুয়েলাকে রক্ষার্থে এবং নিজে দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে রাশিয়া, চীন ও ইরানের কাছে সামরিক সহযোগিতা চেয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
ওয়াশিংটন পোস্টের মার্কিন নথি অনুযায়ী, দেশের দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য মাদুরো এ মিত্র রাষ্ট্রগুলোর কাছে রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান মেরামতসহ সামরিক সহায়তা চাইছেন।
নথি অনুযায়ী, সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মাদুরো চিঠি পাঠিয়েছেন, তার ঘনিষ্ঠ এক উপদেষ্টা মস্কো সফরের সময় পৌঁছে দেন এ চিঠি। একই সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিংয়ের প্রতি পাঠানো চিঠিতেও মাদুরো যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সামরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি চীনা সংস্থাগুলোকে রাডার শনাক্তকরণ ব্যবস্থা তৈরির গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যেন ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত হয়।
প্রকাশিত মার্কিন নথিতে বলা হয়েছে, মাদুরোর এ চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের এ কার্যক্রমকে চীন বিরোধী কার্যক্রম বলেও উপস্থাপন করা হয়। সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার পরিবহনমন্ত্রী র্যামন সেলেস্টিনো ভেলাস্কেজ ইরান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও ড্রোনের একটি চালানের ব্যবস্থা করেছেন। ইরানি কর্মকর্তাদের তিনি আরও জানিয়েছেন, প্যাসিভ ডিটেকশন সিস্টেম, জিপিএস স্ক্র্যাম্বলিং যন্ত্র এবং প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন ভেনেজুয়েলার প্রয়োজন।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার জাহাজে একাধিক হামলা চালিয়েছে মাদকবাহী আখ্যা দিয়ে। এখন পর্যন্ত এর শিকার হয়েছেন অন্তত ৬১ জন। তবে মাদকবাহীর কোনো প্রমাণ করতে পারেনি এখনো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে মাদুরো প্রশাসন। ২০১৩ সালের পর এটি ভেনেজুয়েলার সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেনেজুয়েলার সামরিক ভাণ্ডারের বড় অংশ এখন অচল। দেশটির সাবেক সামরিক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে রুশ সুখোই জেটের মধ্যে পাঁচটিরও কম কার্যকর অবস্থায় ছিল। তবুও প্রেসিডেন্ট মাদুরো দাবি করেন, দেশব্যাপী পাঁচ হাজার রাশিয়ান ইগলা-এস পোর্টেবল বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।