একাদশ জাতীয় সংসদের লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন অনুযায়ী এই দুটি উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ না করেই তদন্ত চলবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা বিশ্লেষণ করছে নির্বাচন কমিশন। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি, এসপি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া সরেজমিন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আসন দুটিতে ঘোষিত ভোটের ফলাফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর জাতীয় সংসদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) সংশোধনী এনে একটি নতুন ধারা যুক্ত করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন অথবা কোনো যৌক্তিক তথ্য উপাত্ত নির্বাচন কমিশনের গোচরীভূত হয় নির্বাচন কমিশন ওই আসনের গেজেট স্থগিত রেখে ওই অভিযোগটি আমলে নেবেন। যথাযথ তদন্ত করাবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
গত রোববার ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়।