আইন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল রিপন বলেছেন, সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের কথা বলে, কোনো বিদেশি শক্তি নয়। আওয়ামীলীগের শক্তির উৎস এ দেশের জনগণ। এ দেশের জনগণের ভালোবাসার কারণেই জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বারবার ক্ষমতায় এসেছেন। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত বিএনপি কর্তৃক সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার প্রতিবাদে ‘ছাত্রসমাজের প্রতিবাদ’ সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ ইকবাল রিপন বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, ঠিক সেই ভাবেই সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলে। কারণ লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু এই সংবিধান দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আর যারা জনগণের সংবিধান মানে না, তারা বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করা আমার মনে হয় ঠিক না। “ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে অনুশীলন করে, আমাদের দেশেও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। গত নির্বাচনেও সংবিধানের একচুল ব্যত্যয় হয়নি, আগামীতেও হবে না।
তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে আজ প্রমাণিত হয়েছে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবচেয়ে সমৃদ্ধ। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। একটি ভিখারি রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল তখনকার বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ কত ব্যবধান সারা বিশ্বের মানুষ তা জানে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। দেশ এগিয়ে গেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যর হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে বেরিয়ে মধ্যম আয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। আজকে উন্নয়ন যখন আমাদের সুপ্রতিষ্ঠিত একটি বিষয়। শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন। আমরা চাই ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে। কিন্তু আপসোসের বিষয় বিএনপি ‘টেক ব্যাক’ বাংলাদেশ বলে দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। এজন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীমূলক নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিতে।
আসিফ ইকবাল রিপন বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে অরাজকতা তৈরি করছে। এই ষড়যন্ত্রকে রাজপথে রুখে দিতে প্রস্তুত আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাই, যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিরাপদ করে তুলছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে; যারা এই হুকুমের আসামি তাদের গ্রেপ্তার করুন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিশ্চয়তা এবং ক্যাম্পাসগুলোতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা কলেজ, বাঙলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।