রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সরকারি সেবার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, এই দিবসের এ বছরের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘সমাজসেবায় গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা’। পাকিস্তানি কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এজন্য তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সন্নিবেশনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে, ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। ইতোমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ৫৪টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও, দেশের অনগ্রসর, অসহায়, দুঃস্থ, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত এবং আইনি সহযোগিতা প্রয়োজন এমন শিশু-কিশোরদের বিকাশ, অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণেও কাজ করছে সরকার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও সামাজিক নিরাপত্তাবলয় দৃঢ়ীকরণের ফলে দেশে দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জীবনচক্রভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি দৃঢ় কল্যাণ রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকেও একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।