স্মার্ট নৌকা সকল বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট নৌকার শুধু ফ্রন্ট গিয়ার আছে। এ নৌকা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে সকল বাধা পেরিয়ে।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জে গণসংযোগে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র।
এবার ঢাকা-৬ আসনের জনগণ স্মার্ট নৌকার সঙ্গী হতে চায় জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ওয়াদা করেছিলেন প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তাঁর কল্যাণে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হয়েছে। এখন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তাই স্মার্ট ঢাকা বিনিমার্ণে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নেত্রী জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পূরণের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে নৌকার বিজয় হবে এবং শেখ হাসিনা ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ইনশাআল্লাহ।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে লাশ দাফন ও শ্মশানে দাহ ফের ফ্রি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ছিলাম পুরান ঢাকায় পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি। কবরস্থানের উন্নয়ন এবং সংস্কারের পরে আমরা দাফন সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছিলাম। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শ্মশানে দাহ ফ্রি করা হয়েছিল। এখন দাফন ও দাহে টাকা নেওয়া হয়। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো আবার ফ্রি করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে আবার সুযোগ দিলে এই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার সন্তান, এটাই আমার বড় পরিচয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকা অবস্থায় এবং এরপরেও আমি যে কাজ করেছি তাতে বিশ্বাস করি এই এলাকার মানুষ তাদের ভালোবাসার উপহার স্বরুপ আমাকে একটি করে ভোট দিবে। সে হিসেবে আমি বিশ্বাস করি অন্যান্য আসন থেকে এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে। এই এলাকার ভোটারদের কেউ আটকাতে পারবে না।’