বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শ বাস্তবায়ন ও বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা রুখে দিতে ‘আধুনিক ও স্মার্ট’ বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি কাজী মামুনুর রহমান মাহিম এবং বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা জাহান নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সভার সিদ্ধান্তে ছাত্রলীগের (সাবেক-বর্তমান) প্যানেলের এই নতুন লোগো অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলোচনা শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের আরও ৬টি কেন্দ্রীয় কমিটির একই লোগো হওয়ায় এবং সেলিম-মশিউরের সাংগঠনিক নিয়মনীতির বাহিরে নিজেদের মনগড়া নিয়মে সংগঠন পরিচালনা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়াসহ নানান অভিযোগে ছাত্রলীগের (সাবেক-বর্তমান) নেতৃত্বাধীন অংশের লোগো পরিবর্তন করার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রকিবুল ইসলাম (রকিব)।
তিনি বলেন, ‘সংগঠন কারো বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। গত প্রায় এক যুগ ধরে সম্মেলন না দিয়েই ‘বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ’র ছলচাতুরি করে পদ-পদবী আঁকরে থাকা, যখন-তখন কমিটি গঠন, অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে কমিটি বানিজ্য, ছাত্রলীগের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মতামতকে অগ্রাহ্য ও অপমান অপদস্থকরা এবং নিজে আইনের শিক্ষার্থী না হওয়াসহ নানান অভিযোগ রয়েছে বিতর্কিত পকেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে জোর-জবরদস্তি করে একক সিদ্ধান্তে মশিউর গত ১৪ আগষ্ট যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া মুখোশ উন্মোচিত বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুদ্ধাপরাধী সাঈদী কাণ্ডে সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন খানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়েই তরিগরি করে কমিটি বিলুপ্ত করেন মশিউর রহমান মোল্লা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের মন্তব্য ঘুরপাক খাচ্ছে!
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মুখোশ উন্মোচিত বিতর্কিতদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি, তারা সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী হলে কখনোই এধরণের করার কথা না।’
‘যুদ্ধাপরাধী রাজাকার সাঈদী কাণ্ডে মুখোশ উন্মোচিত বিতর্কিতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ তথা এক সাগর রক্ত ও ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার সাথে তামাশা করেছেন মশিউর রহমান মোল্লা (যার প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ভাইরাল হয়েছে)।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতার মৃত্যুর শোকে স্ট্যাটাস পোস্ট দেওয়ার ঘটনা খুবই স্পর্শকাতর ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বরং এদেরকে ক্ষমা করা মানেই যুদ্ধাপরাধীকে সমর্থন করা, যা কখনোই কাম্য নয়।
‘এ পরিস্থিতিতে সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষা এবং সাংগঠনিক বিধান সমুন্নত রাখতে সবার মতামতের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এখানে আরও উল্লেখ্য যে, ‘দ্বিতীয় রমজান বুধবার (১৩ মার্চ) গণভবনের বৈঠকে মমতাময়ী নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা “ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন” একইসাথে সেইদিনই উক্ত নির্দেশনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও।’ আমরাও সেই নির্দেশনা অনুযায়ী (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। অথচ তারাসহ তাদের নব্য অনুসারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে ইফতার পার্টিতে প্রকাশ্যে অংশগ্রহন করেন (যার ছবি প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে)। জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালন না করার অভিযোগও রয়েছে। আমরা ওদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের দায় নিবেনা আমাদের ‘আধুনিক ও স্মার্ট’ বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ। এছাড়া এদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
সূত্রে জানা গেছে, আইনের শিক্ষার্থী না হওয়াসহ নানান অভিযোগ রয়েছে মশিউর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে।
এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে মশিউর রহমান মোল্লার সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করা হলে এবিষয়ে উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ভাই আমি মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন দেওয়ার কথা বলে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে বিরতি দিয়ে একাদিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।
সূত্র : যায়যায়কাল