দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আছে। এই বিষয়ে নিজেরা নিজেরা (দলীয় নেতাকর্মী) কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। এটা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে খোলা ট্রাকে শোভাযাত্রাপূর্বক সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গায়ে পড়ে কারো সঙ্গে গোলমাল করব না। আমরা বিজয়ী হব। তারা গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধাবে। তাদের খালি কলসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলসি ভরা। কেউ সন্ত্রাস কার্যক্রম করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আছে। নিজেরা নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কেউ উস্কানিতে কান দেবেন না। বিশৃঙ্খলা তারা করবে যারা নির্বাচনে জিততে পারবে না। সামনে নির্বাচন। খুব সাবধান পা ফেলতে হবে। কারো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালতে মীমাংসা হয়ে গেছে। আমাদের এক দফা সংবিধান। সংবিধানের বাইরে আমরা এক চুলও নড়ব না।
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করবার প্রশ্নই উঠে না। গণতান্ত্রিক দেশের মতো শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেবেছিল ২০০১ সাল ও ২০০৬ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচনে জিতে যাবে। কিন্তু এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। সেটা আর কোনোদিন হবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের পার্টি। বঙ্গবন্ধুর পার্টি। একদিনে শেখ হাসিনা একশোটি সেতু উদ্বোধন করেছেন। বিএনপি কী দিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতি ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের রাস্তাও কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন হয়ে যাবে। বিএনপির অন্তরজ্বালা পায়রা প্রকল্পসহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উন্নয়ন।
বিএনপির আন্দোলনে সঙ্গে জনগণ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি ভুয়া। ওদের আন্দোলন ভুয়া। ৭ দফা ১ দফা ভুয়া। ২০৩০ সালের মধ্যে বিএনপি নাকি দেশ ডিজিটাল করবে। এখন আর বলে না। এরা ভুয়া। তাদের সকল আন্দোলন ভুয়া।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি পেয়েছে একটা হাঁসের ডিম। পেয়েছে একটা ঘোড়ার ডিম। আমেরিকানরা আসছিল। তারা ভেবেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাইবে। আবার ইইউ আসলো। কিন্তু তারা দিয়ে গেল ঘোড়ার ডিম।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এসএম কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।