সংবাদ প্রকাশের জেরে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ঢাকা অফিসে কর্মরত অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৩ মে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে শাকেরুল কবির নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত ওইদিনই মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নোয়াখালী জেলা ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও মামলা দায়েরের প্রায় দুই মাস পর সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি।
এদিকে, গত ২৪ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিবাদী অধরা ইয়াসমিনকে একটি নোটিশ দেন। এতে মামলার বিবাদী অধরা ইয়াসমিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ জুলাই নোয়াখালী জেলা সিআইডি কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা সিআইডির পরিদর্শক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায়। বাদীর বাড়ি নোয়াখালীতে। এজন্য হয়তো এখানে তদন্তে আসছে। গত জুন মাসে মামলার নথি হাতে পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান ও তার অনুসারীদের নিয়ে অধরা ইয়াসমিন আরটিভিতে সংবাদ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন বলেন, দুই মাস আগে রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের অপকর্ম নিয়ে অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদন করেছিলাম। সে সময় নিউজটা নিয়ে খুব আলোচনা শুরু হয়। রাজারবাগের পক্ষ থেকেও নিউজ না করার জন্য খুব চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু নিউজ হওয়ার পর রাজারবাগ দরবার শরীফের মুরিদ মামলাবাজ সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাকেরুল কবির মামলাটি করেছে।
তিনি আরও জানান, সব প্রমাণাদি নিয়ে আমি সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে।