বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক যুক্তরাষ্ট্র এক বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে জাতি নতুন করে বিজয় দিবস উদযাপন করবে আজ দেশকে আরও উন্নত ও স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি আশা করি দ্রুত জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে : মির্জা ফখরুল শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে জাতীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় কর্মসূচি মিথ্যা-প্রতিহিংসামূলক মামলা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল

অবাধ তথ্য প্রবাহের অপব্যবহার করে কেউ যেন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৫১ অপরাহ্ন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে যে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করেছে তা অপব্যবহার করে কেউ যেন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন ভবনে ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে এবং তার সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে। অবাধ তথ্য প্রবাহ মানুষের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে, গণতন্ত্র, বহুমাত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংহত হয়। সে জন্য আমরা তথ্য অধিকার আইন পাস করেছি এবং আজকে সত্যিকার অর্থে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’

সিন্ডিকেট করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে তথ্য অধিকার প্রয়োগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ে সময়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হয়। আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাবো যারা এই সিন্ডিকেট করে তাদের সম্পর্কে আপনারা জানেন। পাইকারি বিক্রেতা কত টাকা দিয়ে পণ্য কিনেছেন, তার উৎপাদন খরচ কত এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কত টাকায় বিক্রি করছেন এবং সেখান থেকে তারা এবং খুচরা বিক্রেতারা কত শতাংশ মুনাফা অর্জন করছেন। অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জনের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় সময়ে সময়ে দ্রব্যমূল্য অকারণে বৃদ্ধি পায়। এখানে যদি স্বচ্ছতা আসে, এ বিষয়গুলো আরো ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে আসে তাহলে কেউ এটি করতে পারবে না।’

এনজিও বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক এনজিও সময়ে সময়ে জাতিকে জ্ঞান দেয়। এই এনজিওগুলো কোথায় টাকা পায় তারা কত টাকা কিভাবে কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে, ট্যাক্স দেয় কি না সেটিও জানা প্রয়োজন। শুধুমাত্র সরকারি দপ্তরে গিয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য দেন-দরবার বা ভিন্ন উপায় অবলম্বন করা এবং শুধুমাত্র সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেগুলোকে গণমাধ্যমে আনা সমীচীন নয়।

নাগরিক সমাজের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিস্তৃত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নাগরিক সমাজ একটু বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু নাগরিক সমাজের নাম করে যারা বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তারা কার স্বার্থ রক্ষা করছে, জাতির স্বার্থ রক্ষা না কি যাদের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে তাদের স্বার্থ রক্ষা করছে, সেই তথ্যও জানা প্রয়োজন। সুধীমন্ডলী ও সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো সে দিকে দৃষ্টিপাত করার জন্য।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক দশকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে পৃথিবীর পুরো ক্যানভাসটাই বদলে গেছে, মানুষের অভ্যাসও বদলে গেছে। দেশে ৮ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবং এই মাধ্যম আমাদের যোগাযোগের অবাধ সুযোগ যেমন করে দিয়েছে, একই সাথে রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা, সমাজে অস্থিতিশীলতা, গুজব রটানো, ভুল সংবাদ, মিথ্যা সংবাদ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ ছড়ানোর বড় প্লাটফর্ম তৈরি করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত এশিয়া মিডিয়া সামিটে মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা মোকাবিলা। বছরখানেক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্ভেতে দেখা গেছে যে, ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে সমাজে যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়, সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা হয়, এবং তৎপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র দুর্বল হয়। এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিপাত করা দরকার। কারণ এ দেশেও পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে নরবলি দেওয়াসহ নানা ধরণের গুজব, এরপর ছেলে ধরা গুজব ছড়ানোর পর গণপিটুনিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য কমিশন এই ক্ষেত্রে কি করতে পারে, সেটি নিয়েও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন তথ্য কমিশনার শহিদুল আলম ঝিনুক এবং মাসুদা ভাট্টি। সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, সাবেক তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার এবং মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ এবং তথ্য অধিকার নিয়ে কর্মরত সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন।

প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য অধিকার দিবস পালনের ধারাবাহিকতায় এ দিনের সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদে ২০০৯ সালের প্রথম অধিবেশনে ২৯ মার্চ তথ্য অধিকার আইন পাশ হওয়ার পর থেকে গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এ আইনের আওতায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯শ’ ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে এবং এর ৯৬.৭৩ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। আর তথ্য কমিশনে এ পর্যন্ত দায়ের করা ৫ হাজার ৩শ ৬০টি অভিযোগের মধ্যে ৫ হাজার ২শ’ ৭১টি নিষ্পত্তি হয়েছে। ২০০৯ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারি ছিলো ৬০ লাখ যা এখন প্রায় ১২ কোটির কাছাকাছি এবং দেশে ব্যবহৃত মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর