আর কিছুদিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব। এ বছর জেলার ১০টি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বমোট ৬৪৫টি ম-পে দুর্গা উৎসব উদযাপিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছরের মতো এবছরও দুর্গাৎসবকে ঘিরে চারদিকে চলছে সাজ সাজ রব। জেলা ও সিটি শহরে স্থায়ী-অস্থায়ী ভাবে সর্বমোট ৬৪৫টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এখন বেশীর ভাগ মন্ডপে চলছে তুলির শেষ আঁচড়ের কাজ। এর পাশাপাশি নগরীর সড়কগুলোতে তোরণ নির্মাণ ও মন্ডপগুলোতে চলছে আলোক সজ্জার প্রস্তুতি। এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (নগরী) ৪৬টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, জেলার সদর উপজেলায় ২৪ টি, আগৈলঝাড়ায় ১৬৩ টি, উজিরপুর ১১৮, গৌরনদী ৮৪, বাকেরগঞ্জ ৭৪, বানারীপাড়া ৫৯, মেহেন্দিগঞ্জ ২৪, বাবুগঞ্জ ২৪, মুলাদী ১২, হিজলা উপজেলায় ১৫ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবছর জেলায় নতুন আরো ১১টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও মহানগর পূজা উৎযাপন পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা জানান, আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপুজা উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক লাল মুখার্জী জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্র থেকে পাঠানো ২৬ দফার নির্দেশনা সব মন্দির ও পূজা উৎযাপন কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা মেনেই সবাইকে পূজা উদযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, ৬৪৫টি মন্ডপে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণের নিমিত্তে চাল বরাদ্ধের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাছে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে। চাল বরাদ্দ পাওয়া মাত্র আমরা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বিতরণ শুরু করবো।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নগরীর প্রতিটি মন্ডপে সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত নগর পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত থাকবে। এছাড়া র্যাব-আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আমরা নগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপ এলাকায় অসম্প্রদায়িক কমিটি গঠন করেছি। কোথাও কোনো অপ্রীতি কর ঘটনা ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। আপনারা যত বেশি তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহায়তা করবেন তত বেশি নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো অঘটন না ঘটে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি সক্রিয়।