জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে সারা বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি বলেন, ‘নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের নারীরা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছেন এবং দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তার কার্যালয়ে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চীফ অফ পার্টি ডানা এল. ওল্ডস সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ, নারী সংসদ সদস্য, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকায় সংসদে নারীর অংশগ্রহণ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার দেশ। এদেশের নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। তবে নারীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী যেন ভুল না বোঝাতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উভয়ই জাতীয় সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্যোগী।
ডানা এল. ওল্ডস বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের বেশি সংখ্যায় মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আন্তরিক হওয়া উচিত। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মহিলা প্রার্থীদের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের আর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে বেসরকারী সদস্যদের বিল আনা যেতে পারে৷
এসময় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র ডিরেক্টর আব্দুল আলীম, ডিরেক্টর লিপিকা বিশ্বাসসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।