রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা ও কার্যকর পদক্ষেপ জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
তিনি ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জলাতঙ্ক বাংলাদেশে একটি পরিচিত রোগ হলেও সচেতনতা ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে রোগটির প্রভাব অনেক বেশি। তাই জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে একজন মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুবরণ করে এবং প্রত দশজন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে চারজনই শিশু। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে জলাতঙ্ক শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলেও রাষ্ট্রপতি মনে করেন।
তিনি বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, বিআইটিআইডি হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে জলাতঙ্কের হার পূর্বেও তুলনায় হ্রাস পেলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এদেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকরী অংশগ্রহণ অতীব জরুরি।
তিনি ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।