 
						ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে, দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনায় দ্রুতবিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া দ্রুতবিচার আদালতে দায়ের করেন মো. এজাজুল হক (২৭) নামে এক ব্যক্তি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী মো. এজাজুল হক পিতা: রেজাউল হক ওরফে সুলতান মিয়া (৬৬) গ্রাম: সূর্য্যকান্দি, ডাকঘর: কালিকচ্ছ, উপজেলা: সরাইল, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মামলার আসামি করা হয়েছে একই এলাকার, ১. আব্দুল আল জিহাদ (২৮) পিতা: সামসুল হক ওরফে সামসু উদ্দিন (৫০)
২. সামসুল হক ওরফে সামসু উদ্দিন (৫০) পিতা: মৃত আব্দুল ছাত্তার, উভয় সাং- কালিকচ্ছ (নন্দীপাড়া) ডাকঘর: কালিকচ্ছ উপজেলা: সরাইল এবং তার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বুধবার, সকাল আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায়, বাদীর পৈতৃক জমিতে সীমানা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে, মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থলে বাদী ও ১নং সাক্ষী, তফশীলোক্ত ভুমি রক্ষনাবেক্ষন করিতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই, আসামিরা দলবদ্ধভাবে প্রবেশ করে জমি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে মামলার ১নং আসামী, বিজিবি কর্মরত আব্দুল আল জিহাদ (২৮) বাদী মোঃ এজাজুল হকের পিতা, মোঃ রেজাউল হক ওরফে সুলতান মিয়াকে (৬৬) কিল, ঘুষি ও বেদরম মারধর করে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থায় প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসা শেষে জমি দখল ও হামলার ঘটনায় ২০০২ সালের দ্রুতবিচার আইন (ধারা ৪/৫) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী ও আসামিপক্ষের মধ্যে পূর্ব থেকে জমির সীমান্ত নিয়ে বিরোধ ছিল। স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ হলেও সমাধান হয়নি। সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনায় বাদী আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হন।