দেশে পাসপোর্ট অফিসের গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ পুরনো। পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় পাসপোর্ট পেতে। এই পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট অফিসে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কেএম আবু হানিফ হৃদয়ের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম।
রিট আবেদনে সারা দেশে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন অবৈধ হবে না- এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু করার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য নীতিমালা তৈরির নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের।
রিট আবেদনে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, ‘ছকে বাঁধা দুর্নীতির চরকি ঘুরছে পাসপোর্ট অফিসে। যেন লাগাম টানার কেউ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক দিকে কড়াকড়ি করলে আরেক দিকে খুলে দেওয়া হয় ঘুষের নতুন পথ।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়।
শুনানি শেষে রিটকারী আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট রিট শুনানি মুলতবি করেছেন। পরবর্তীতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেবেন।