‘দেশের ব্যাংকগুলোতে ক্লাসিফায়েড লোন বা অনাদায়ী ঋণের হার কমেছে, যে তথ্য সিপিডি তাদের রিপোর্টে সুকৌশলে গোপন করেছে’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘২০০৮-৯ সালে ক্লাসিফায়েড লোন ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কু-ঋণের হার কমেছে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিকরা সিপিডি’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্ত্রীর তীব্র সমালোচনার প্রসংগ উত্থাপন করলে তিনি এ অভিমত পুণর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার। তার মানে দেশের অর্থনীতির আকার ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর জিডিপি বৃদ্ধি পেলে ক্লাসিফায়েড বা ব্যাড লোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা জিডিপির কত অংশ, সেটিই হচ্ছে মূল বিষয়, যেটি সিপিডি রিপোর্টে উল্লেখ করেনি।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি বলেছে, ক্লাসিফায়েড লোন বেড়েছে। কিন্তু তারা শুধু আকারের কথা বলেছে, পারসেন্টেজের কথা বলে নাই, গোপন করেছে। কারণ, ক্লাসিফায়েড লোনের হার কমেছে। এর অর্থ, তাদের রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিপিডি এমনও ব্যবসায়ী গ্রুপের ক্লাসিফায়েড লোনের কথা বলেছে, যে গ্রুপের লোন ক্লাসিফায়েড নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ সিপিডি অসত্য তথ্য দিয়েছে।’
এ সময় অতীতের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিপিডির কেউ কেউ তো ২০০৭-২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তখনও ক্লাসিফায়েড লোন ১০ শতাংশের ওপরে অর্থাৎ এখনকার চেয়ে বেশি ছিল।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে তথ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।’