বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইসি কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে-বিপক্ষে দাঁড়াতে চায় না : সিইসি শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের সম্পত্তিতে হামলা না করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান রাজশাহীর ইউনিস্যাবের ১২তম স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও শৃঙ্খলা’ প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা বিষয়ে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম বাতিলে হাইকোর্টের রায় সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র চলছে কি না সজাগ থাকতে হবে : তারেক রহমান গেট ভেঙে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ঢুকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল শাসন ও বিচারবিভাগের সংস্কার প্রতিটি নাগরিককে স্পর্শ করবে : প্রধান উপদেষ্টা দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ ও ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় ছিল অমানবিক : হাইকোর্ট ব্রিটেনের আদলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার রূপরেখা বিএনপির ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন ব্যারিস্টার জায়মা রহমান

গাজা নিয়ে পরিকল্পনা করলেন ইসরায়েলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ১:৩৯ অপরাহ্ন

ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনের জন্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।

গ্যালান্ট বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর হামাস কিংবা ইসরায়েল কেউই ফিলিস্তিনি ভূখন্ড শাসন করবে না।
গ্যালান্ট প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা জমা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে তার পরিকল্পনার একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যাকা শাসনকারী হামাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গাজার ভবিষ্যতের বিষয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় বিভক্তি দেখা দেয়।

পরিকল্পনার অধীনে, ৭ অক্টোবরের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের ‘সামরিক ও শাসন ক্ষমতা’ ভেঙ্গে ফেলা এবং অবশিষ্ট যে কোন সামরিক হুমকি অপসারণ না করা পর্যন্ত এই অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
রূপরেখায় বলা হয়েছে, এরপর, একটি নতুন পর্যায় শুরু হবে যখন ‘হামাস গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করবে না’। তখন অনির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলো ভূখন্ডের শাসনভার গ্রহণ করবে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা ভূখন্ডের অভ্যন্তরে কাজ করার অধিকার সংরক্ষণ করবে, তবে ‘যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় কোনো ইসরায়েলি বেসামরিকের উপস্থিতি থাকবে না’।

জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির সোমবার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনাকারীদের যুদ্ধের পর ভূখন্ডে ফিরে যাওয়ার এবং গাজার ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার ‘অভিবাসনকে উৎসাহিত করার সমাধানের’ জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা উগ্র ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের অনুরূপ মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে।
আরব রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি মূল মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি এই বক্তব্যের নিন্দা করেছে।

গ্যালান্টের রূপরেখায় বলা হয়েছে, ‘গাজার বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলো দায়িত্বে থাকবে, এই শর্তে যে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও শত্রুতামূলক কর্মকান্ড বা হুমকি থাকবে না।’ তবে কোন সংস্থাগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তা উল্লেখ করেননি।

ওয়াশিংটন গাজাকে একটি ‘পুনরুজ্জীবিত’ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ দ্বারা শাসিত করার পরামর্শ দিয়েছে, যা অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রাক্কালে গ্যালান্টের এই পরিকল্পনার প্রকাশ করা হয়। ব্লিঙ্কেন গাজার জন্য আরও মানবিক সহায়তার জন্য চাপ দিতে এবং সংঘাতের যে কোনও আঞ্চলিক বৃদ্ধি রোধ করতে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর