চুয়াডাঙ্গা চাঁদাবাজি মামলায় বিএনপি নেতা সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কোর্টমোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা (৪০) চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার জামাত আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ায় নুরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী বাড়ি নির্মাণ করছেন। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে গ্রেফতারকৃত সোহেল রানাসহ ১০-১২ জন তার নির্মাণাধীন ভবনের সামনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে অভিযুক্তরা ৬ গাড়ি ইট, ২টন রড ও ৩০ সেফটি কাঠ জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
বিষয়টি নুরুজ্জামান তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের জানালে, তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। গত ৬ জানুয়ারি আবারও জোর করে ২ হাজার পিস ইট নিয়ে যায় সোহেল রানাসহ কয়েকজন। উপায়ান্ত না পেয়ে নুরুজ্জামান তার বাড়ি নির্মাণের জন্য কেনা বাকি ৬০ গাড়ি ইট অন্যত্র বিক্রি করে দেন।
মঙ্গলবার সেসব ইট ট্রাকযোগে সরানোর সময় সোহেল রানাসহ কয়েকজন বাধা দেয়। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে ইট সরাতে দেবে না বলেও হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় রাতেই নুরুজ্জামানের স্ত্রী আরিফা পারভীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি বলেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে বলে জেনেছি। দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি কোন ঘটনায় জড়িয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।