সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি’র ফলকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ‘বৈষম্যহীন ফলের’ দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ডিগ্রিতে অটোপ্রমোশনের দাবিতে একই স্থানে অবস্থান নিয়েছে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ডিগ্রি বৈষম্যনিরসন ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে অটোপ্রমোশনের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাদের জাতীয় জাদুঘরের সামনে যেতে বললে সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয় তারা। এসময় একই জায়গায় বৈষম্যহীন ফলের দাবিতে অবস্থান নেয় এইচএসসি’র শিক্ষার্থীরাও।
শাহবাগ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট (ফল) প্রকাশের পর কিছু শিক্ষার্থী রেজাল্টে সমতা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত ডিগ্রি শিক্ষার্থীরা অটোপ্রমোশনের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে আমরা তাদের রাস্তা থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে নিয়ে এসেছি। উপ-কমিশনার (ডিসি) স্যার তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। শাহবাগ একটি প্রধান সড়ক। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।’
ওসি আরও বলেন, ‘তারা যেসব দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে এখানে আন্দোলন করলে তাদের চাওয়া পূরণ হবে নাকি? তাদের যেতে হবে শিক্ষা বোর্ড কিংবা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছি। তারা যেন আর রাস্তা অবরোধ না করেন।’
এইচএসসি ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান চৌধুরী বলেন, আমরা বৈষম্যহীন রেজাল্ট চাই। আমাদের যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে এবং যেগুলো হয়নি, দুটো মিলেই আমরা বৈষম্যহীন ফলের দাবি করছি। অনেকের রেজাল্টে দেখা গেছে— অযৌক্তিকভাবে তাদের ফেল দেখানো হয়েছে, কারও কারও রেজাল্ট খারাপ দেখানো হয়েছে। আমরা বৈষম্যহীন রেজাল্ট চাই, যাদের অযৌক্তিকভাবে ফেল দেখানো হয়েছে তাদের পাস চাই। সবার প্রত্যাশিত রেজাল্ট চাই।
অপরদিকে, মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ বলেন, আমাদের ডিগ্রি শেষ হওয়ার কথা ছিল তিন বছরে, সেই জায়গায় আমরা ছয়/সাত বছর ধরে ডিগ্রিতে আছি। এখানেই যদি এত বছর লেগে যায় আমরা চাকরির পরীক্ষায় বসবো কখন। আর এই মুহূর্তে আন্দোলনে আহত ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে অনেকেই পরীক্ষায় বসার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তাই আমরা চাই, আমাদের ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট মূল্যায়ন করে আমাদের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল রেজাল্ট ডিসেম্বরের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হোক, আমরা যেনো পঁচিশ সালের শুরুতেই মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে পারি।