গতকাল মঙ্গলবার সংসদে ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর বিল, ২০২৩’-এর ওপর আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ডেঙ্গু নিয়ে কথা বললে জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশ জুড়ে চলমান ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মশারি বিতরণের পরামর্শ দেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তার মতে, ১ কোটি মশারি বিতরণ করলেই ডেঙ্গু অর্ধেক কমে যাবে। কারণ, যে রোগীর ডেঙ্গু হয়, তাকে যে মশা কামড় দেবে, ঐ মশা সুস্থ মানুষকে কামড় দিলে তারও ডেঙ্গু হবে। এ সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ৫০ শতাংশ হতাহত কমে যাবে।
জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে মশারি কেনার সামর্থ্য নেই এমন মানুষ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু মশারি ব্যবহার না করার প্রবণতা আছে। অনেকেই মশারি ব্যবহার করে না।
বিলের ওপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ডেঙ্গু মশা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। মশা মারতে কামান দাগানোর কথা ছিল, প্রয়োজনে কামান দাগাতে হবে। আমি তো মনে করি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ খুব সহজ ব্যাপার, ১ লাখ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেন, তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে লার্ভা পরিষ্কার করবে, ওষুধ দিয়ে আসবে। এখন ওষুধটা যদি ভেজাল হয়, তাতে কোনো কাজ না করলে ডেঙ্গু তো বাড়বেই, খুব স্বাভাবিক। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান তিনি।
জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর কারণে গোটা জাতি উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এ বছর পৃথিবীতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, পৃথিবীর ৫০ শতাংশ লোক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।