শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
শাহবাগে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হলে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না: শিক্ষা উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কঠোর অবস্থানে সরকার পরিবারসহ শামীম ওসমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : তারেক রহমান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ইউক্রেনে শান্তি আলোচনায় প্রয়োজন হবে ইউরোপকে: পুতিন নতুন দলের নেতৃত্বে নাহিদ ইসলাম, আরও থাকছেন যারা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগের প্রশ্নে যা বললেন নাহিদ নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি, ঐক্যবদ্ধ থাকি : সেনাপ্রধান

নায়ক মান্নার মৃত্যু : দ্রুত বিচার চাইতে হাইকোর্টে তার স্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩, ১:৫৯ অপরাহ্ন

বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার অবহেলাজনিত মৃত্যুতে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার স্ত্রী শেলী কাদের।

রোববার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শেলী কাদের বলেন, ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেছি। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আমি মান্না হত্যার বিচার চাই। ন্যায় বিচার চাই। মান্না হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেন নায়ক মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে এ মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়।

বিচারবিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরদিনই তারা হাইকোর্টে জামিনের জন্য গেলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।

ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্পণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বাক্ষর করে জামিন লাভ করেন। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ ফিরোজ আলম। এরপর এক, দুই ও তিন নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য থাকা দিনেই সংশ্লিষ্ট বিচারক বদলি হয়ে যান। থেমে যায় সাক্ষ্যগ্রহণ।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। কিন্তু সেই রিট আবেদনের শুানানিও শুরু করছেন না আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ইতোমধ্যে এ বছর (২০১১ সালে) শুনানির জন্য ১৫ কার্যদিবস ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষ শুনানি না করে সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেন মান্নার মামলার আইনজীবী ড. ব্যারিস্টার খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুল হুদা।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় গাড়ি চালিয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে যান মান্না। ওই হাসপাতালে যাওয়াই ছিল তার জীবনের শেষ যাওয়া। সেদিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহলোয় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর