ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পরকীয়ার জেরে স্বামী হারুন-অর-রশিদ হারুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মতিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সর্জিনা খাতুন উপজেলার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের নিহত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী।
মামলার নথির বরাতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই ঝিনাইদহের শৈলকুপার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের হারুন-অর-রশিদকে তার স্ত্রী খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে তার স্ত্রী সর্জিনা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক লিটন হোসেন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সর্জিনা খাতুন ও লিটনকে আসামি করে পরের দিন মামলা দায়ের করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সর্জিনা খাতুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দেন। তদন্ত শেষে এসআই তৌহিদুর রহমান ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সর্জিনা খাতুন ও লিটনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলায় স্ত্রী সর্জিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তিনি জানান, মামলার অপর আসামি লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাশ দেওয়া হয়েছে।