আপডেট :
বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন :
অধ্যাপক রুমানা আলী। (ছবি : সংগৃহীত)
অধ্যাপক রুমানা আলীকে প্রতিমন্ত্রী করায় গাজীপুরে চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে খবরটি জেনে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়ালগড় ও পিরুজালী ইউনিয়নসহ শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে শামিল হন সাধারণ মানুষও।রুমানা আলী গাজীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।নেতাকর্মীরা জানায়, বুধবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুবুর রহমান নতুন মন্ত্রিসভায় ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম জানিয়েছেন। ওই ১১ জনের মধ্যে রুমানা আলীও রয়েছেন জেনে তাঁরা উচ্ছ্বসিত। মানুষজনও শুধু খুশিই নন, আনন্দ-উল্লাসে উদ্ভাসিত।তারা জানায়, মুহূর্তে খবরটি জেনে রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়ালগড় ও পিরুজালী ইউনিয়নসহ শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও শামিল হন সাধারণ মানুষও।শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল সরকার নয়াকণ্ঠকে জানান, গাজীপুর-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত দুর্গ। এই আসন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলী টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিগত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আটটিতেই জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ।তিনি জানান, ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০১ সালের জুলাই পর্যন্ত অ্যাডভোকেট রহমত আলী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তাঁকে ছাড়া এ যাবৎ পর্যন্ত এ এলাকা থেকে কারোই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি। তাঁরই কন্যা রুমানা আলী এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে। ফলে তাৎক্ষণিক এ খবরে আনন্দে-উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষও।আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়া সাতখামাইর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমগর এলাকার জন্য এর চেয়ে খুশির খবর আর অয় না। আপা মন্ত্রী অইছে-এলাকার অনেক উন্নয়ন অইবো।’কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের মুদি দোকানদার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাইয়া খুব খুশি অইছি। আমগর এলাকাত্যে এইবার মন্ত্রী অইছে। খবর পাইয়াই আনন্দ মিছিল করছি।’
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান নয়াকণ্ঠকে বলেন, ‘রুমানা আলীর ক্লিন ইমেজ। বাবার মতোই সৎ তিনি। তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখায় এ এলাকার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফলে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ আনন্দ-উল্লাসে উদ্ভাসিত।’