সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
শাহবাগে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হলে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না: শিক্ষা উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কঠোর অবস্থানে সরকার পরিবারসহ শামীম ওসমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : তারেক রহমান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ইউক্রেনে শান্তি আলোচনায় প্রয়োজন হবে ইউরোপকে: পুতিন নতুন দলের নেতৃত্বে নাহিদ ইসলাম, আরও থাকছেন যারা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগের প্রশ্নে যা বললেন নাহিদ নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি, ঐক্যবদ্ধ থাকি : সেনাপ্রধান

ফ্যাশনের মোড়কে তামাকের নেশা: নিষিদ্ধ হোক ই-সিগারেট

সম্পাদকীয়
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র। সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে এই ইলেকট্রনিক সিগারেট বাজারজাত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ই-সিগারেট ধরনের পণ্যকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

দেশে ই-সিগারেটের শুরুর দিকে কেবল রাজধানীর অভিজাত এলাকার কিছু দোকানে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সারা দেশেই পাওয়া যায়। আমরা দেখেছি পুরোনো দোকানগুলোর বিক্রি কমেনি বরং কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর নতুন ও পুরোনো দোকানগুলোতে দিন দিন বিক্রি বাড়ছে। তাতে বোঝা যায় দেশে এই সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।

প্রায় ৮ হাজার বিভিন্ন স্বাদ-যেমন ফল, সফট ড্রিংকস, চকোলেট, পুদিনা এবং অন্যান্য ফ্লেভারে ই-সিগারেটগুলো ‘স্বাস্থ্যকর এবং ট্রেন্ডি পণ্য’ হিসেবে বাজারজাত করা হয়, যা তরুণ প্রজন্মকে কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে এবং নেশায় আকৃষ্ট করে।

সিগারেট ছাড়তে ই-সিগারেটের ব্যবহার করেন অনেক ধূমপায়ী। পারতপক্ষে ই-সিগারেট মোটেও সিগারেট ছাড়তে সাহায্য করছে না বরং স্মোকাররা সিগারেট ও ই-সিগারেট দুটিতেই আসক্ত হয়ে পড়ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এর ভয়াবহতা বুঝতে পেরেছে এবং ইতিমধ্যে ৪২ দেশ তাদের দেশে ই-সিগারেটকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে এবং আরও ৫৬ দেশ ই-সিগারেট ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। পাশাপাশি আরও অনেক দেশ তাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ই-সিগারেট।

বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিয়ে স্পষ্ট কোনো আইন না থাকায় দেশে আমদানি ও বিক্রয় করা হচ্ছে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে। শুধু দোকান কিংবা মার্কেটেই নয়, ই-সিগারেট বিক্রয় হচ্ছে অনলাইন মার্কেটগুলোতেও। বর্তমানে ০.২ শতাংশ মানুষ ই-সিগারেট ব্যবহার করলেও খুব তাড়াতাড়ি এই সংখ্যাটি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধূমপায়ীদের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছেন, কিছু কোম্পানি অপকৌশলের মাধ্যমে তাদের আবার ই-সিগারেটে আসক্ত করার চেষ্টা করছে। তাই এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের তামাকজাত দ্রব্যের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, তার মাধ্যমে ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মাধ্যমেও মাদক (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ধারা ৫ অনুযায়ী ই-সিগারেট আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে অভিজ্ঞ মহল। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর