বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নিজ ঘরে মিলল ২ সন্তানসহ মায়ের গলাকাটা মরদেহ ‘দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে’ গোপনে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় যেসব খাবার পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৩ নৌকা প্রতীক থাকবে কিনা, জানালেন নির্বাচন কমিশনার নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির কাজ শুরু হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়লো ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান শুরু’ স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে সে জন্য ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে : বদিউল আলম চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান : ছাত্রশিবির মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা, যুবদলের ২ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নিখোঁজের একদিন পর মসজিদের দোতলায় পড়ে ছিল শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ

বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১৬ অপরাহ্ন

সারা দেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ এবং মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নতুল কলা ভবন সংলগ্ন মহুয়াচত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বাকী দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে এবং গত ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের নামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করতে হবে।
মানববন্ধনে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠা হবে বলে দেশবাসীর আশা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় যদি মব জাস্টিসের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে সেই আশা ব্যাহত হয়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চর্চা করেছে তাদের দ্বারাই এই মব জাস্টিস হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনো মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে চায় এবং প্রশাসন যদি তার প্রশ্রয় দেয় তাহলে তাহলে আমরা আবারও আন্দোলন গড়ে তুলব। দেশের জনতার আকাঙ্ক্ষাকে আমরা ধারণ করি। এজন্য মাঠে ছিলাম, মাঠেই থাকব।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল প্রশাসনের কারণে ছাত্রলীগ বিগত বছরগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জলকে দফায় দফায় পিটানো হয়েছে কিন্তু প্রশাসন সেখানে হাজির হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রক্টর অফিসে একজন মানুষকে দফায় দফায় মারা হলো কিন্তু প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা হুশিয়ারি দিতে চাই, প্রশাসন যদি সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে আমরা প্রশাসনের দায়িত্ব নেব।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ.র.ক রাসেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লাকে যে মব জাস্টিস মেরেছে তারা পুলিশের কাছে তুলে দিতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। কয়েক দফায় মারের পর তারা প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছে সত্য কিন্তু প্রক্টর অফিসে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে তার ওপর (শামীম মোল্লা) নির্মম অত্যাচার করা হয়। নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে যখন তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়, মারধর করা হয় তখন প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? দেশের আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায়, নিরাপত্তা শাখায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় যারা কারো যদি মৃত্যু হয় তাহলে যারা মারছে তাদের পাশাপাশি ওই হেফাজতকর্মীদেরও দায় দায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা যিনি হত্যা মামলার আসামি তার দায়িত্ব পালনকালে তার উপস্থিততে শামীম মোল্লার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলছেন, “বাধা দিয়েছিলেন” তাহলে মানুষ মারা গেলো কেনো?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর