‘ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালন করার উদ্দেশ্যে ব্রুনাই দারুস্সালাম-এ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আজ সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালনের পর হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা, হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ। এরপর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ হাবিবুল্লাহ।
তাৎপর্যপূর্ণ এই দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বানী পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাগন। ‘ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর ইতিহাস ও তাৎপর্য এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম, যার মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইউনেস্কো কর্তৃক ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের যে থিম ঠিক করা হয়েছে তা হল, ‘বহুভাষার মাধ্যমে শিক্ষাঃ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান চর্চার স্তম্ভ’। মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ ও বাংলা ভাষা ব্যবহারের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি তিনি সবাইকে বিশ্বের অন্যান্য ভাষার প্রতি আগ্রহ ও সন্মান প্রদর্শনের জন্য উৎসাহিত করেন এবং বহুভাষা শেখার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন।