শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে জেঁকে বসেছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয় চুয়াডাঙ্গায় চাঁদাবাজি মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার সচিবালয়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, তদন্ত কমিটি গঠন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বেগম খালেদা জিয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার দেশের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সরকারের ৫ নির্দেশনা শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি : জামায়াত সেক্রেটারি নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দূষিত হয়ে গিয়েছিল : আবুল কাসেম ফজলুল হক তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘হাশ মানি’ মামলায় অভিষেকের আগে ট্রাম্পকে সাজা ৪৩তম বিসিএস : পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন ২২৭ জন

২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৫৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নিকৃষ্টতম একটি দিন ২৮ অক্টোবর। ২০০৬ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (রমনা) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, চোর, ডাকাত, খুনি, দুর্নীতিবাজ, লুটেরারা পালিয়ে যায়, কোনো ভালো মানুষ পালায় না, কেবল অপরাধীরাই পালিয়ে যায়। তারা যে অপরাধ করেছে তা তাদের পালানোর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। এখন আওয়ামীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়তো তাদের বিচার শেষ করতে পারবে না। কিন্তু শুরুটা তাদেরই করতে হবে। আওয়ামী লীগ কাল্পনিক অভিযোগ দাঁড় করিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচারিক হত্যা করেছে। পুরো জাতিকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। পুরো জাতি ছিল একদিকে আর আওয়ামী লীগ তার শরিক ১৪ দলকে নিয়ে ছিল জনগণের বিপরীত দিকে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, খুন, গুম, ভোট ডাকাতির ইতিহাস রচনা করেছে। মানুষ তার শাসনামলে জুলুম-নির্যাতনে দিশেহারা ছিল। তার মৃত্যুর পর দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এমনকি তার দলের নেতারাও মন্তব্য করেছে- আল্লাহ ফেরাউনের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাজনীতির ময়দানে গ্রহণ করেনি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে, তাওবা করে, রাজনীতির ময়দানে একবার সুযোগ ভিক্ষা চেয়ে রাজনীতির মাঠে জনগণের দয়ায় এসেছে। আসার পর শেখ হাসিনা আবার দেশ ও জনগণকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের মদদে বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতীয় নেতারাসহ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর