নারায়ণগঞ্জের সদর থানার গোগনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইকবাল প্রধান বাপ্পির বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকে এলাকা সয়লাব। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণসমাজ। গত ১০ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ দেন। বাপ্পিসহ নারায়ণগঞ্জের মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদকে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমরা আমাদের সন্তান ও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতে নিয়ে শঙ্কিত। পাশাপাশি একটি চিহ্নিত মহল প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চাঁদাবাজী, অন্যের ভূমি দখল করছে। বিশেষ করে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন চৌধুরী বিটুর সহযোগিতায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল প্রধান বাপ্পি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক বেচাকেনাসহ ভূমিদস্যতা করে যাচ্ছে। তাদের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, মাদক বেচাকেনা ও ভূমিদস্যুতায় ইউপি সদস্য ইকবাল প্রধান বাপ্পির অন্যতম সহযোগী তার ছোট ভাই টিপু, গুজ আলমগীরের ছেলে বিয়াদ ও সেতু। এলাকায় কেউ নতুন ভবন তৈরি করতে চাইলে ইকবাল বাহিনী চাঁদা দাবি করে বসে। মাদক বেচাকেনার প্রতিবাদ করলে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিটুর সহযোগী ইকবাল বাহিনীর আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান অভিযোগকারী।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাদকের হটস্পট হয়ে ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ গোগনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও মাদক কারবারিদের দমানো যাচ্ছে না। টাকার বিনিময় প্রশাসনকে মেনেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করেছেন ইকবাল প্রধান বাপ্পি।
এই অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইকবাল প্রধান বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মাদক-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নই। শত্রুতামূলক কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারে। প্রমাণ করলে বুঝা যাবে এটা সত্যি না মিথ্যা।