বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে রবিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ঢাকার আদালত। সোমবার সেই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন তিনি। বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর দাবি, শুধুমাত্র তাঁকে দমিয়ে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। তবে, সত্যের জয় হবে এবং তিনি আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন বলে দাবি করেছেন পরীমণি।
২০২১ সালে ঢাকার উত্তরায় বোট ক্লাবে বিবাদের জেরে ব্যবসায়ী ও ওই ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন পরীমণি। তাঁকে ধর্ষণ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন পরীমণি। নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ওই বছরের ৬ জুলাই পরীমণি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন নাসির। তিনি এই নায়িকার বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুর এবং হত্যা চেষ্টার মামলা করেন।
রবিবার ওই মামলায় চার্জশিট গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, পরীমণি হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি হয়। আইনিভাবেই পুরো বিষয়টি মোকাবিলা করার কথাও জানিয়েছিলেন পরীমণি। এও জানান, শারীরিক অসুস্থার কারণে তিনি আদালতে হাজির থাকতে পারেননি।
সোমবার ঢাকা আদালতে পরীমণি আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করাও হয়েছিল। ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ জুনাইদের আদালত এই জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
জানা গিয়েছে, আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করার পরে আনন্দে কেঁদে ফেলেন পরীমণি। তাঁর দাবি, তিনি মামলা করার পরে, তাঁকে দমানোর জন্যই পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। পরীমণি বলেন, ‘চার বছর আগের ঘটনা। সুবিচারের আশায় আমি অনেকের কাছে গিয়েছিলাম। দরজায় দরজায় ঘোরার পরই আদালতে মামলা করি। আমি এখানে আশাহত হতে চাই না। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমার আশা আমি ন্যায়বিচার পাব। সত্যের জয় হবে।’