তৃতীয় ধাপের মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (২ মে) শেষ দিনে মনোনয়ন দাখিল করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তফসিল অনুযায়ী এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ১২ মে।
কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের আগেই মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন থেকেই মোংলা উপজেলায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতীকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার ছেড়েছেন। ভোট চেয়ে অনলাইন মাধ্যমে জিঙ্গলসহ ভিডিও প্রচার করছেন। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় প্রচার করছেন বিজ্ঞাপনও।
এনিয়ে মোংলা উপজেলাজুড়ে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেনের নানা সমালোচনাসহ তার আচরণবিধি তদারকিতে নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা শাকিল হোসেন, মো. শাহজালাল ফকির ও সুন্দরবন ইউনিয়নের রেজাউল মৃধা বলেন, এখনও মনোনয়নই যাছাই-বাছাই হয়নি, এমনকি প্রতীকও বরাদ্দ হয়নি, অথচ আনারস প্রতীক দিয়ে ইব্রাহিম হোসেন পোষ্টার ছাপিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও আচারণ বিধি লংঘন হচ্ছে। তার এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জানা গেছে, মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং তার অনুসারীরা ‘আনারস’ প্রতীকের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্টার ছেড়েছেন। অথচ তার জন্য এখনও কাঙ্খিত প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি উপজেলা নির্বাচন অফিস।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রার্থীরই পোষ্টার ছাপানোর সুযোগ নেই। এরপরও যে প্রার্থী পোষ্টার ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন, তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং সেই প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তার পোষ্টার সরিয়ে ফেলবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমি আনারস প্রতীক চেয়ে নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছি, কিন্তু এখনও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোন শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে ভালবেসে অতি উৎসহ হয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটার দায় দায়িত্ব তাদের। আমি আমার পরিচিতি সবাইকে এমনটা না করতে নিষেধ করে দিয়েছি।’