রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের মেয়র হানিফের জীবন-কর্ম থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জাানিয়ে বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফ তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
আগামীকাল মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আরো বলেন, নীতি ও আদর্শে অটল মোহাম্মদ হানিফ কোনো ধরনের প্রলোভনে কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। এই কর্মবীর জননেতা ২০০৬ সালের ২৮শে নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মোহাম্মদ হানিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুরানো ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৪ সালের ১লা এপ্রিল জন্ম নেয়া মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অত্যন্ত স্নেহভাজন। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে তিনি আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দুঃখী মানুষের নেতা মেয়র হানিফ ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালে ট্রাকমঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল তৈরি করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালান। জীবনবাজি রেখে নেত্রীকে বাঁচাতে তাঁর আত্মত্যাগের এই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।