নীরাবতা
প্রস্থানই নিয়তি!
আর কোন পথ নেই খোলা;
চোখের আড়াল মানেই
দূরে যেতে যেতে সরে যায়
শেষ অব্দি নিজের ছায়াটাও!
তারপর, একসময় সব উধাও!
যেভাবেই বলা হোক না কেনো
প্রতিধ্বনির মতো,
যা কিছুই আসে ফিরে ফিরে
নীরবে অভিমানে কেঁদে
আলোতে অন্ধকার হ’য়ে যায়
একসময় না পাওয়ার বেদনায় ভীড়ে।
জীবন বাসা বাঁধে ভঙ্গুর তালপাতায়
অবজ্ঞায় এক পার্থিব অবসাদে,
পরিশিষ্ট হয়ে প্রোথিত হয়
অবশেষে ঘৃণার অবলীলায়।
এরি নাম কী জীবন!
এই হলো তবে বেঁচে থাকা।
জানি সেই ইতিহাস দূর পায়ে
হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে,
মন রাখে যখন সহযাত্রীর জঠরে।
দেখি, আমিও ঠিক তাদেরই মতো
এক জীবন্ত ইতিহাস!
সবুজ ঘাসের বুকে
শব্দের ভাঁজে ভাঁজে অক্ষর হয়ে।
যে বেদনায় কাঁদে,সে কেবল জানে!
ব্যাথার বারিধী কী ভাবে লুটায় মৃত্তিকার ঘুহায়।
লেখক : মাহাবুবা লাকি
কবি, সাহিত্যিক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশাল বাংলা সাহিত্য পরিষদ।