পবিত্র ঈদুল আজহার দিন দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করতে সব কাউন্সিলরকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২০ জুন) করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ২০তম বোর্ড সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আপনারা গত ঈদুল আজহায় সফলতার সঙ্গে নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন। এমনকি কে আগে বর্জ্য অপসারণ শেষ করতে পারে সেজন্য আপনাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। আশা করছি, আপনারা এবারও নিজ উদ্যোগে এই পুরো কার্যক্রমটা তদারকি করবেন।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের নিবন্ধিত যে প্রতিষ্ঠানগুলো (পিসিএসপি) রয়েছে আমরা এরই মাঝে তাদের নিয়ে সভা করেছি। আপনারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিসিএসপিগুলোকে নিয়ে ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকেই যেন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা যায় সেটি নিশ্চিত করবেন।’
পশুর হাটের বর্জ্য সীমিত পরিসরে ঈদের রাত থেকে অপসারণ শুরুর দিকনির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন ‘যেসব মহল্লা ও এলাকায় পশুর হাট রয়েছে সেসব পশুর হাট থেকে ঈদের আগের রাত ১২টার আগে থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ শুরু করতে চাই। রাত ১১-১২টা থেকে হাটের পরিধি কমতে শুরু করে। পশু কমতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে অগ্রিম যদি আমরা কিছু বাঁশ খুলে, কিছু জায়গা কমিয়ে ফেলতে পারি তাহলে পরবর্তী কাজটা আরও সুবিধা হবে। না হলে একদিকে হাটের বর্জ্য অন্যদিকে পশুর বর্জ্য– দুটি অপসারণ কার্যক্রম করতে হিমশিম খেতে হবে। সেজন্য আগে রাত থেকেই হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করবো, কমিয়ে ফেলবো। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরিষ্কার কার্যক্রমটা বাস্তবায়ন করতে পারবো। ঢাকাবাসীকে দ্রুত একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারবো।’
এ সময় শেখ তাপস কোরবানির স্থান ও বাসাবাড়ি থেকে সব পশুর বর্জ্য সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাউন্সিলরদের জোর তদারকিরও নির্দেশ দেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও ছিলেন– দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক।