বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য বিকৃত করে অপপ্রচার শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকারের সতর্কতা পিআর ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে : মির্জা ফখরুল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ১৬ অক্টোবর আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক : তারেক রহমান পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে : জিটিওকে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেই এক মাসে ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়ন সম্ভব : মাহফুজ আলম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭১ হাজার পুলিশ মোতায়েন ব্যাংকের টাকা লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কন্যার যোগদান

বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১৬ অপরাহ্ন

সারা দেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ এবং মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নতুল কলা ভবন সংলগ্ন মহুয়াচত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বাকী দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে এবং গত ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের নামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করতে হবে।
মানববন্ধনে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠা হবে বলে দেশবাসীর আশা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় যদি মব জাস্টিসের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে সেই আশা ব্যাহত হয়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চর্চা করেছে তাদের দ্বারাই এই মব জাস্টিস হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনো মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে চায় এবং প্রশাসন যদি তার প্রশ্রয় দেয় তাহলে তাহলে আমরা আবারও আন্দোলন গড়ে তুলব। দেশের জনতার আকাঙ্ক্ষাকে আমরা ধারণ করি। এজন্য মাঠে ছিলাম, মাঠেই থাকব।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল প্রশাসনের কারণে ছাত্রলীগ বিগত বছরগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জলকে দফায় দফায় পিটানো হয়েছে কিন্তু প্রশাসন সেখানে হাজির হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রক্টর অফিসে একজন মানুষকে দফায় দফায় মারা হলো কিন্তু প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা হুশিয়ারি দিতে চাই, প্রশাসন যদি সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে আমরা প্রশাসনের দায়িত্ব নেব।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ.র.ক রাসেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লাকে যে মব জাস্টিস মেরেছে তারা পুলিশের কাছে তুলে দিতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। কয়েক দফায় মারের পর তারা প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছে সত্য কিন্তু প্রক্টর অফিসে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে তার ওপর (শামীম মোল্লা) নির্মম অত্যাচার করা হয়। নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে যখন তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়, মারধর করা হয় তখন প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? দেশের আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায়, নিরাপত্তা শাখায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় যারা কারো যদি মৃত্যু হয় তাহলে যারা মারছে তাদের পাশাপাশি ওই হেফাজতকর্মীদেরও দায় দায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা যিনি হত্যা মামলার আসামি তার দায়িত্ব পালনকালে তার উপস্থিততে শামীম মোল্লার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলছেন, “বাধা দিয়েছিলেন” তাহলে মানুষ মারা গেলো কেনো?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর