ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর’ সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত ৮ জন ছাত্রের আবাসিক সিট বাতিল করেছে হল প্রশাসন। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির একটি সূত্র থেকে জড়িত ৮ জনের নামের তালিকা এসেছে এ প্রতিবেদকের কাছে। অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। এরমধ্যে জালাল মিয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের সাবেক (সদ্য পদত্যাগকারী) উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া আহসান উল্লাহ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক। সাজ্জাদ ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক। অন্যদিকে সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র।
এছাড়া মুত্তাকীন সাকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। মো. ফিরোজ কবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ও মো. আবদুস সামাদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হলেন জালাল মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, আহসান উল্লাহ, মুত্তাকীন সাকিন, আল হোসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।