সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারের নিয়মবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহিষ্কারের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
রবিবার (১৩আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশ শেষে তারা শান্তির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গোলাপ বিতরণ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ইকবালের বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার ও শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, ‘ইকবালের এ বহিষ্কার নিয়মবহির্ভূত। এমন বহিষ্কারে প্রশাসন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দেখাতে পারে নি। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। একজন সাংবাদিকেরও সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলছি, আপনারা শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষার্থীরা আপনাদের জন্য নয়। আমরা আপনাদের হাতে জিম্মি থাকতে চাই না।’
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ‘প্রশাসন ইকবালের যে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে এটি শুধুমাত্র ব্যক্তি আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। আমরা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা কোন আইনে শিক্ষার্থী বহিষ্কার করেছেন সেটি ব্যখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামীদিন সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোন কিছু নিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। শিক্ষা জীবনের সাথে ইকবালের সাংবাদিকতা জড়িত নয়। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আপনি যাদের পরামর্শে কাজ করছেন দিনশেষে তারাই আপনাকে বিপদে ফেলবে। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শুধু ভিসি নন, আপনি আমাদের অভিভাবক। ইকবালের আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশের কারণে সারা বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
এদিকে ইকবালের আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে যথারীতি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।